ভারতীয় দলে লোকেশ রাহুলের দায়িত্ব এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের অনুপস্থিতিতে। অস্ট্রেলিয়া সফরটা তেমন ভালো যায়নি, কারণ তাঁকে বারবার ব্যাটিং পজিশন বদলাতে হয়েছিল। ইংল্যান্ডে অবশ্য ভারতের দুই ওপেনারই সফল হয়েছেন। যশস্বী জসওয়াল প্রথম ইনিংসে শতরান করেছিলেন, আর লোকেশ রাহুল দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন। দলের দুই ওপেনার যদি এমন ছন্দে থাকে, তাহলে যে কোনও দলই বিদেশের মাটিতে ভালো লড়াই ছুঁড়ে দিতে পারে, যেমনটা টিম ইন্ডিয়াও করেছে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজের ১৩৭ রানের ইনিংসের পর রাহুল প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি এখন দলের সিনিয়র ক্রিকেটার। ধারাবাহিকতা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই প্রশ্ন উঠেছে রাহুলকে নিয়ে। যদিও ২০২৫ সালে ওডিআই এবং টেস্টে তিনি ভালোই ছন্দ দেখাচ্ছেন। নিজের শতরানের পর রাহুল তাই বলছিলেন, ‘আমি এখন রান পাচ্ছি। একটা সময় ছিল, যখন আমি ভালো শুরু করেও বড় রানে কনভার্ট করতে পারছিলাম না। এখন আমি অনেক বেশি শান্ত মনে খেলছি। কোনও রেকর্ড তাড়া করার চেষ্টা করছি না। আমি শুধুই ক্রিকেটকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি ’।
রাহুল যে কথাটা বলেছেন যে তিনি আর সংখ্যার দিকে তাকাতে চান না, সেটা কতটা সত্যি সেটা বোঝা যায় তাঁর শতরানের পরিসংখ্যান দেখলেই। নিজের কেরিয়ারের ৯টি টেস্ট শতরানের মধ্যে ৮ টেস্ট শতরানই তিনি করেছেন বিদেশের মাটিতে। তবে বারবারই তাঁর ব্যাটিং গড় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ধারাবাহিকতার অভাবে। ওপেনার হিসেবে ভারতীয়দের মধ্যে ইংল্যান্ডে শতরান করার নিরিখেও রাহুল দ্রাবিড়, রবি শাস্ত্রী, সুনীল গাভাসকরদের টপকে গিয়েছেন রাহুল।
যদিও নিজের মেগা শতরানের পর কর্ণাটকের এই ব্যাটার কিন্তু স্বীকার করে নিচ্ছেন, নিজের ব্যাটিং গড় দেখে তাঁর নিজেরই খারাপ লাগে। রাহুল বলছেন, ‘আমি যখন নিজের ব্যাটিং গড়ে দেখি, আমার নিজেরই খারাপ লাগে। কিন্তু এই সময় এসে আর আমি সংখ্যায় তাকাতে চাই না। যতটা বেশি সম্ভব টেস্টে ভারতীয় দলের জন্য অবদান রাখতে চাই, আর সেটা করতেই আমি ভালোবাসি ছোট থেকেই ’।