একেবারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে এশিয়াটিক সোসাইটি। বছরের পর বছর ধরে জ্ঞানের প্রাচীন ভান্ডার সযত্নে রক্ষা করছে সোসাইটি। এবার বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্য়মে সেই জ্ঞানের ভান্ডার গোটা বিশ্বের মানুষ যাতে দেখতে পান তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। গোটা বিশ্বের গবেষকরা যাতে এই জ্ঞান রত্ন ভাণ্ডার পেতে পারেন তার জন্য় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সোসাইটির আর্কাইভে রাখা রয়েছে প্রায় ৫২০০০ প্রাচীন পুঁথি। তবে এবার একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পাঠোদ্ধার করা ও গবেষকরা যাতে তার নাগাল পান তার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে প্রায় ৫২০০০ প্রাচীন পুঁথি। ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটির প্রশাসক লেফটেনান্ট কর্নেল অনন্ত সিং জানিয়েছেন, ভারতে প্রচুর প্রাচীন পুঁথি রয়েছে। তবে বহু পুঁথি পড়া হয়নি। কারণ এগুলি ধরে ধরে পড়াটা খুব কষ্টসাধ্য়। তবে এবার যদি সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয় তবে অতীত সম্পর্কে একটা বিরাট দিক খুলে যাবে।
সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিংয়ের সহযোগিতায় এশিয়াটিক সোসাইটি সম্প্রতি প্রজেক্ট বিদ্যানিকা এনেছে। নতুন একটি মডেলের মাধ্যমে এঅই পুঁথি পাঠোদ্ধার করা হবে।
এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে এই পুঁথিগুলিকে পাঠোদ্ধার করা, ও সেগুলিকে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের আধুনিক পদ্ধতির সহায়তায় এটা করা হবে। এক্ষেত্রে অপটিকাল ক্যারেকটার রিকগনিশন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতে পারে।