দিল্লির বিধানসভা নির্বাাচনের প্রাক্কালে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর প্রধান নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর, এবার বিজেপি বিভিন্ন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন সটান আরএসএস প্রধানের কাছেই 'নালিশ ঠুকলেন' তিনি!
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার মোহন ভাগবতকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন আপ-এর জাতীয় আহ্বায়ক কেজরিওয়াল। সেই চিঠিতে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিত অনৈতিক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন তিনি। এবং সংঘ প্রধানের কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি এবং তাঁদের সংগঠন কি বিজেপির এই সমস্ত আচরণ সমর্থন করেন?
চিঠিতে কেজরি লিখেছেন, ‘বিজেপি অতীত যা কিছু ভুল করেছে, আরএসএস কি তা সমর্থন করে? বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যে টাকা বিলি করছেন! আরএসএস কি এভাবে ভোট কেনা সমর্থন করে? আরএসএস কি মনে করে গণতন্ত্রের জন্য এটা ভালো? আরএসএস কি এটা ভাবছে না যে বিজেপি গণতন্ত্র দুর্বল করে দিচ্ছে?’
এই চিঠিতে কেজরিওয়াল আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তা হল - বিজেপি নেতারা ভোটার তালিকাতেও কারচুপি করছেন। দলিত এবং পূর্বাঞ্চলী ভোটারদের ভোটার তালিকা থেকে ইচ্ছা করে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর প্রশ্ন, আরএসএস কি মনে করে এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ? আরএসএস কি মনে করে না বিজেপি এভাবে আসলে গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল করে দিচ্ছে?
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার আপ-এর মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা কক্কর বিজেপি নেতা বিশাল ভরদ্বাজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, শাদার বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের একাংশের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জমা করেছেন বিশাল।
প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছিলেন, ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেচে পূর্বাঞ্চলীদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন বিশাল। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ ছিল, 'আমরা যখন এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হই, আমাদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়।'
প্রিয়াঙ্কার আরও অভিযোগ ছিল, বিজেপি নেতা পরবেশ শর্মা নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রকাশ্যে টাকা বিলি করেছেন। ভোট কেনার জন্যই ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন তিনি। এমনকী, ভোটার তালিকায় নতুন নাম জুড়তে ও পুরোনো নাম বাদ দিতেও নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জমা করেছেন পরবেশ।
আর গত রবিবার কেজরিওয়াল নিজে অভিযোগ করে বলেছিলেন, 'ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হচ্ছে।'
যদিও দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছিলেন, ২৪ ডিসেম্বরের (২০২৪)-এর মধ্য়েই ভোটার তালিকা নিয়ে সমস্ত অভিযোগের সমাধান করা হয়ে গিয়েছে। এবং আগামী ৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।