হরিয়ানা যমুনার জলে বিষ মিশিয়ে দিল্লিতে পাঠাচ্ছিল এমনই দাবি করেছিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এনিয়ে শোরগোল চরমে ওঠে। এদিকে তারপরই মুখ খুলেছিলেন হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি কেজরির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গেই তিনি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছিলেন। এবার এনিয়ে পালটা মুখ খুললেন কেজরিওয়াল।
তিনি বলেন, সাইনি সাহাব( হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী) জল নিয়ে রাজনীতি করবেন না। মামলা করবেন বলে আমায় ভয় দেখাবেন না। আমি দিল্লির মানুষকে মরতে দেব না। আপনার দলকে বলুন নোংরা রাজনীতি করবেন না। একটি সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লি জল বোর্ড নিশ্চিত করেছে যে দিল্লিতে যমুনার যে জল আসছে তাতে অ্যামোনিয়া বিষ ছিল। তিনি বলেন, জল বোর্ডের সিইও গতকালই নিশ্চিত করেছেন যে দিল্লিতে যমুনার যে জল আসছে তাতে অ্য়ামোনিয়াতে ভর্তি ছিল।
কেজরিওয়াল বলেন, কেস করে দাও। জেলে পাঠিয়ে দাও। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দাও। আমাকে কেসের ভয় দেখাবেন না। জল দেওয়া পূণ্যের কাজ। এটা করুন। কিন্তু পরিষ্কার জল দিন।
এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দিল্লি জল বোর্ড তাদের চিঠিতে জানিয়েছে শীতকালে যমুনা নদীতে অ্য়ামোনিয়ার স্তর স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শীতকালে যমুনা নদীতে অ্য়ামোনিয়ার স্তর স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। কারণ ওই সময় স্রোত কমে যায়। অপরিশোধিত নোংরা ও শিল্প বর্জ্য বাড়তে থাকে উপরের প্রবাহে। দিল্লি জল বোর্ডের যে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে সেটা অ্যামোনিয়ার স্তরকে ১ পিপিএম পর্যন্ত হ্যান্ডেল করতে পারে। এদিকে এর আগে হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এনিয়ে ক্ষমা চাওয়া দরকার হরিয়ানার মানুষের কাছে। দিল্লির মানুষের কাছে তাঁর বক্তব্যের জন্য। না হলে আমরা এবার মানহানির মামলা করব।
হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন, কেজরিওয়াল বলেছিলেন দিল্লি জল বোর্ডের ইঞ্জিনিয়াররা নাকি দিল্লিতে আসার পথে জলের গতি থামিয়ে দিয়েছিলেন কারণ তাঁরা বিষ ধরতে পেরেছিলেন। আমি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করতে চাই কোন দিন এটা হল! কীভাবে ইঞ্জিনিয়াররা এই সিদ্ধান্তে এলেন যে এতে বিষ মেশানো আছে!
সামনেই দিল্লি ভোট। তার আগে জমে উঠেছে জলের এই বিস্ফোরক ইস্যুকে কেন্দ্র করে জলঘোলা।