প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় এলেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। সেইমতোই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিসানায়েকে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই অনুরা কুমারার এটাই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক মহল। তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে এক মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। কবে নির্বাচন হবে তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্ক্সবাদের জয় শ্রীলঙ্কায়? রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এগিয়ে অনুরা! তিনে বিক্রমাসিংহে
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন অনুরা কুমারা। বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী ১৪ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের মেয়াদ আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত। তবে তার ১১ মাস আগেই ভেঙে দেওয়া হল পার্লামেন্ট।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের সদস্য সংখ্যা ২২৫ জন। সেখানে অনুরা কুমারা ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের সদস্য সংখ্যা কেবল তিনজন। এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মানুষের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতপূর্ণ নয় এমন পার্লামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।
এদিন পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর আগামী ২১ নভেম্বর নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অনুরা কুমারা। প্রসঙ্গত, চরম আর্থিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই অবস্থায় সেখানকার মানুষকে আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অনুরা কুমারা। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার বক্তৃতায় তিনি শ্রীলঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষা এবং নেতাদের প্রতি সম্মান ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কায় শেষবারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালের আগস্টে। বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ ২০২৫ সালের অগস্ট পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের ১১ মাস আগেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হল। এদিকে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরেই অনুরা ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের মহিলা নেত্রী হরিণী অমরাসুরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন। গতকালে তিনি শপথ নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তিনি তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছেন।