অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই শনিবার শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছে। আজ রবিবার চলছে ভোটগণনা। এই অবস্থায় দেশটিতে রাষ্ট্রপতির কুর্সিতে কে বসবেন? সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব। শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, আপাতত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন মার্ক্সবাদী নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে।
আরও পড়ুন: ‘হাসিনাকে ভারতেই থাকতে দিন, দেশকে স্বাভাবিক করুন’ ঢাকাকে বার্তা শ্রীলঙ্কার
অনুরা কুমারা এখনও পর্যন্ত ১০ লাখের মধ্যে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে সেই জায়গায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বিরোধী দলনেতা সজিথ প্রোমাদাস ২২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তবে বিক্রমাসিংহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দৌড়ে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
উল্লেখ্য, শনিবার ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে যে নির্বাচন হয়েছে, তাতে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের মধ্যে ভোট দিয়েছিলেন ৭৫ শতাংশ মানুষ। অনুরা কুমারা ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে তার মার্ক্সবাদী মনস্ক দল জনতা বিমুক্তি পেরেমুনা (জেপিভি)। এই দলটি ঐতিহ্যগতভাবে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ, কর কমকরা এবং আরও কঠোর বাজার অর্থনৈতিক নীতি সমর্থন করে থাকে। যদিও বর্তমানে জেপিভির শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে মাত্র তিনজন সদস্য রয়েছে। এই অবস্থায় সকলকে চমকে দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন অনুরা কুমারা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দুর্নীতি বিরোধী কঠোর পদক্ষেপ এবং দরিদ্রদের সমর্থনে নীতি আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া ব্যক্তি এগিয়ে রয়েছেন। অনুরা কুমারা নিজেকে পরিবর্তনের প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। দেশের বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দীর্ঘ এবং কঠিন প্রচারের পর নির্বাচনের ফলাফল এখন পরিষ্কার। আমি রাষ্ট্রপতি অনিল বিক্রমাসিংহের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলাম। শ্রীলঙ্কার জনগণ তাঁদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি তাঁদের আদেশকে পুরোপুরি সম্মান করি।’
প্রসঙ্গত, তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে ২০২২ সালে দেশটির রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিক্রমাসিংহে। গণ অভ্যুত্থানের জের ২০২২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে পালিয়ে যেতে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর আগে শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে।
প্রসঙ্গত, দেশটির নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হতে গেলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভোট বাধ্যতামূলকভাবে পেতে হবে। তবে কোনও প্রার্থী সেই সংখ্যক ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে।