বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ইদে নিজেকেই ‘বলিদান’ দিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রৌঢ়
পরবর্তী খবর
ইদ-উল-আযহা উপলক্ষে 'বলিদান' হিসেবে উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির নিজেরই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেওরিয়া জেলায়। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি সুইসাইড নোটও লিখে রেখে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ঘটনাটি ঘটেছে দেওরিয়ার গৌরী বাজার থানা এলাকার উধোপুর গ্রামে। (আরও পড়ুন: এবার চিনের উত্তরে ভারতীয় সেনা, ড্রাগনের হাড় কাঁপাতেই ছুটল 'যাযাবর হাতি'?)
আরও পড়ুন-ভরা সভায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে নির্বিচারে গুলি! কলম্বিয়ায় হুলুস্থূল
সূত্রের খবর, শনিবার ইশ মহম্মদ ইদুল আজহার (৬০) নামাজ পড়তে স্থানীয় মসজিদে যান এবং সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন। তার স্ত্রী হাজরা খাতুন জানান যে, বাড়ি ফিরে আসার পর তিনি ছাগল পালনের জন্য বাড়ির কাছে তৈরি একটি কুঁড়েঘরে যান। সেই সময় তার ছেলেরা ইদ উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন।প্রায় এক ঘন্টা পর,ইশ মহম্মদের গোঙানির শব্দ শুনতে পায় তাঁর স্ত্রী। এরপরেই দ্রুত হাজরা খাতুন কুঁড়েঘরে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পায় যে তার স্বামীর গলা কাটা এবং ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ঝরছে। কাছেই একটি ছুরি পড়ে ছিল। এই দেখে তিনি চিৎকার করে ওঠে । তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হওয়ার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ইশ মহম্মদকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা দেখে তাকে গোরক্ষপুর মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। (আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় মুনির, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ছড়ালেন বিষ)
আরও পড়ুন-ভরা সভায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে নির্বিচারে গুলি! কলম্বিয়ায় হুলুস্থূল
বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা, চরম হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, কী হয়েছে মার্কিন মুলুকে?
আত্মহত্যার আগে ইশ চিঠি লিখেছিল বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। চিঠিতে তিনি লিখেছেন,'আমি আল্লাহর রাসূলের নামে নিজেকে উৎসর্গ করছি। কেউ আমাকে হত্যা করেনি।' পুলিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেননি যে এমন কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে কিনা। তার মৃত্যুর পর পুলিশ দেহ হেফাজতে নেয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) অরবিন্দ কুমার ভার্মা বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে নিহত ব্যক্তি নিজেই গলা কেটেছেন। তবে, আমরা সমস্ত দিক থেকে বিষয়টি তদন্ত করছি।' খবর অনুযায়ী, ইশ মহম্মদের তিন ছেলে আছে, আর দুই ছেলে তার সঙ্গে গ্রামে থাকে। ছোট ছেলে মুম্বইতে কাজ করে।