মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। তারই মাঝে এদিন দেশের স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সংসদে এই ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত সরকার, তবে দলীয় ভেদাভেদ সরিয়ে এই আলোচনার ডাক তিনি দেন। তিনি বিরোধী দলগুলির কাছে এই ইস্যুতে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি সংসদের দুই কক্ষের বিরোধীদলগুলিকেই জানান যে মণিপুর নিয়ে সরকার সংসদে আলোচনায় রাজি।
এদিন সংসদে অমিত শাহ বলেন,'ওঁরা সহযোগিতায় আগ্রহী নয়', বিরোধীদের টার্গেট করে বলছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘ তাঁরা দলিতে আগ্রহী নন, মহিলাদের কল্যাণে আগ্রহী নন, তাই তাঁদের স্লোগানিয়ারিং চলছে।’ অমিত শাহ বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন, ‘যাইহোক, আমি আবার বলতে চাই যে আমি উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের চিঠি দিয়েছি যে আমি মণিপুর নিয়ে বিশদ বিতর্কের জন্য প্রস্তুত। সরকারের কোন ভয় নেই এবং যারা আলোচনা করতে চায় তাদের স্বাগত।’ অমিত শাহ বলেন, ‘ আমাদের লুকানোর কিছু নেই। আমাদের নির্বাচনে যেতে হবে এবং জনগণ আপনাকে দেখছে। মণিপুরের এই স্পর্শকাতর ইস্যুতে আলোচনার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন।’ উল্লেখ্য, মণিপুর ইস্যুতে সংসদে ব্যাপক স্লোগান দেখা যায় বিরোধীদের তরফে। প্রসঙ্গত, টুইটারে এদিন অমিত শাহ, অধীর চৌধুরী ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠি প্রকাশ্যে এনে টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পার্টি লাইনের উর্ধ্বে গিয়ে মণিপুরের বিষয়ে আলোচনা করতে সমস্ত পার্টির সহযোগিতা দরকার, সরকার এতে প্রস্তুত। এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সমাধান করতে সমস্ত দল সাহায্য করবে। ’
একাধিক বিরোধী নেতা বারবার মণিপুরের অশান্তির পরিবেশের বিষয়ে সরকারের থেকে জবাব জানতে চান। এদিকে, সংসদে বাদল অধিবেশের আগে, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় সোনিয়া গান্ধী, নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছিলেন তিনি চান সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হোক। এদিকে, বাদল অধিবেশন সংসদে শুরুর আগে মণিপুরের ভয়ঙ্কর এক ভিডিয়ো দেখা যায়। সেই চাঞ্চল্যকর ভিডিয়োতে দেখা যায় মহিলাদের বিবস্ত্র করে রাস্তায় প্যারাড করানো হচ্ছে।
ভিডিয়ো সামনে আসার পরই সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী একাধিক বার্তা দেন। তিনি জোরালো বার্তায় দাবি করেন ঘটনায় অভিযুক্তদের কাইকে 'ছেড়ে দেওয়া হবে না।' এছাড়াও ঘটনা ‘দেশের কাছে লজ্জার’ বলে দাবি করেন মোদী। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশ। বিরোধী দল থেকে কংগ্রেস দাবি করে, ঘটনার বহু দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নীরবতা ভেঙেছেন বলে। এছাড়াও তৃণমূলের তরফেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক’ উদ্দেশ্যবোধক বলে দাবি করেন। এদিকে, সেই ঘটনার পর এবার অমিত শাহ সংসদে বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন।