সীমান্ত পারের সন্ত্রাস সহ যেকোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও তার প্রকাশের তীব্র নিন্দায় এবার একই সুরে সুর মেলাল ভারত ও কুয়েত। সদ্য ২ দিনের কুয়েত সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে নানান আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, কুয়েত, বর্তমানে ‘গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল’ এর সভাপতিত্ব করছে, আর তার জন্য কুয়েতের আমিরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, মোদীর সফরকালে সন্ত্রাসদমন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। আর এরপরই সদ্য দুই দেশের যৌথ বিবৃতি সামনে এল। জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসদমন অভিযান, সাইবার নিরাপত্তা, যুবকদের উগ্রপন্থার রাস্তা থেকে সরিয়ে আনা সহ নানান বিষয়ে মোদীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
ভারত ও কুয়েতের যে যৌথ বিবৃতি এসেছে, সেখানে বলা হয়েছে,' দুই পক্ষ একযোগে নিন্দা করছে সীমান্ত পারের সন্ত্রাস সহ সব ধরনের সন্ত্রাস ও তার প্রকাশের। ডাক দেওয়া হয়েছে, সেফ হেভেনগুলি, সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের নেটওয়ার্ক ব্যহত করার এবং জঙ্গি পরিকাঠামো ভাঙার পক্ষে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা নিয়ে প্রশংসা প্রকাশ করা হয়েছে। সন্ত্রাস দমনে, তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নিতে, দুই পক্ষই সহযোগিতার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে।' যৌথ বিবৃতি বলছে, দুুই দেশ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে ও তা গড়ে তুলতে সহমত, প্রযুক্তি, আইন প্রণয়নে সহযোগিতা, আর্থিক তছরুপের বিরোধিতা, মাদক পাচারের রোখা, এবং বাকি বেশ কয়েকটি অপরাধ রোখার ক্ষেত্রেও দুই দেশ সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
( Ram Mandir: ‘রামমন্দিরে শিবসেনা, কংগ্রেসেরও অবদান’ রয়েছে! ভাগবতের বক্তব্যের পর কৌশলী সুর উদ্ধব শিবিরের সঞ্জয় রাউতের)
উল্লেখ্য, সাইবার দুনিয়ায় সন্ত্রাস রোখার বিষয়েও দুই দেশ আলোচনা করেছে বলে খবর। যৌথ বিবৃতি বলছে, ‘সাইবার স্পেসে সন্ত্রাস, উগ্রপন্থা রোখা ও সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়েও দুই দেশ আলোচনা করেছে।’ এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। কোভিডের সময় দুই দেশের সহযোগিতারও প্রশংসা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। বিবৃতি বলছে, কুয়েতে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট নির্মাণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে মোদীর সফরে। মেডিক্যাল প্রোডাক্ট রেগুলেশনের বিষয়ে একটি মৌস্বাক্ষর নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও কূটনৈতিক আঙিনায় SCOতে কুয়েতের প্রবেশকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের সংস্কার নিয়েও হয়েছে আলোচনা। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণের দিকটিও মোদীর সফরে ভারত-কুয়েতের আলোচনায় এসেছে।