ভারতী এয়ারটেলের কমপক্ষে ২০০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনতে পারে অ্যামাজন। তবে পুরো বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে একথা জানিয়েছেন সেই কথাবার্তার প্রক্রিয়ায় সামিল থাকা তিনজন।যদি শেষপর্যন্ত সেই কথাবার্তা চূড়ান্ত রূপ নেয়, তাহলে বর্তমান বাজারমূল্যের ভিত্তিতে এয়ারটেলের পাঁচ শতাংশ শেয়ার অ্যামাজনের হাতে যাবে। বিশেষজ্ঞদের, জিয়োর চাপে কার্যত ধুঁকছে এয়ারটেল। এই অবস্থায় অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হলে নয়া সঞ্জীবনী পাবে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা। শুধু তাই নয়, নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠবে ভারতীয় অর্থনীতি। গতি পাবে ডিজিটাল কাজকর্ম। এক ব্যক্তি বলেন, 'শুধুমাত্র মোবাইল অপারেটর থেকে জিয়ো নিজেদের ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর গ্রাহক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে এবং এয়ারটেল সেটাই করতে পারে। এয়ারটেল এখন পিছন থেকে ধরার পথ খুঁজছে এবং অ্যামাজনের বিষয়টা হল ভারতের ব্যবসার ক্ষেত্রে কৌশলগত দিকে হাঁটা।'ভারতের বাজারে নিজেদের জায়গা আরও পাকা করতে অ্যামাজন যে কতটা মরিয়া, তার প্রমাণ মিলেছে দ্বিতীয় ব্যক্তির কথায়। তিনি জানান, এয়ারটেলের ৮-১০ শতাংশ শেয়ার কেনা-সহ একাধিক বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছিল অ্যামাজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজনের মধ্যে দু'জন জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে এবং চুক্তির শর্ত পরিবর্তিত হতে পারে। এমনকী চুক্তি ভেস্তেও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে এয়ারটেল গ্রাহকদের সস্তায় অ্য়ামাজনের পণ্য বা পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। অ্রর্থাৎ ভারতে নিজেদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছে মার্কিন সংস্থা।বিষয়টি নিয়ে অ্যামাজনের তরফে অবশ্য মুখ খোলা হয়নি। সংস্থার মুখপাত্র বলেন, ‘কোনও কাজ যা আমরা ভবিষ্যতে করতেও পারি, আবার নাও পারি, তা নিয়ে কোনও প্রকার জল্পনায় আমরা মন্তব্য করি না।’ অন্যদিকে এয়ারটেলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্য়াটফর্মের পরিষেবা, কন্টেন্ট দেওয়ার জন্য নিয়মিত আলোচনা হয়। তার বাইরে জনসমক্ষে আনার মতো কোনও কাজ হয়নি।