প্রদীপ শর্মাকে হত্যা, অপহরণ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে বম্বে হাইকোর্ট। এছাড়াও প্রদীপ শর্মা অ্যান্টিলিয়া মামলারও অভিযুক্ত। যদিও এই মামলায় গত বছর সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছিল।
Ad
এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট প্রদীপ শর্মা
মুম্বই পুলিশের এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট প্রদীপ শর্মাকে দোষী সাব্যস্ত করল বম্বে হাইকোর্ট। ২০০৬ সালে রামনারায়ণ গুপ্তা ওরফে লখন ভাইয়ার ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। রামনারায়ণ এনকাউন্টার মামলায় এর আগে প্রদীপ শর্মাকে বেকসুর খালাস করেছিল দায়রা আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্ট দায়রা আদালতের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ১৮ বছর পর প্রদীপ শর্মাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা শোনাল। উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ শর্মাকে হত্যা, অপহরণ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে বম্বে হাইকোর্ট। এছাড়াও প্রদীপ শর্মা অ্যান্টিলিয়া মামলারও অভিযুক্ত। যদিও এই মামলায় গত বছর সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিয়েছিল। কিন্তু, বম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে প্রদীপ শর্মার ঠাঁই হতে চলেছে জেলে।
বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে ধরে এবং বিচারপতি গৌরী গডসের বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় ভুল বিবেচনা করে শর্মার মুক্তি বাতিল করে। বেঞ্চ বলেছে, যে দায়রা আদালত শর্মার বিরুদ্ধে প্রমাণ উপেক্ষা করেছে। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রদীপ শর্মার জড়িত থাকার বিষয়টি পুরোপুরি প্রমাণিত হয়। এই নির্দেশ দেওয়ার পর বেঞ্চ মুম্বই পুলিশের একজন সুপরিচিত কর্মকর্তা প্রদীপ শর্মাকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে দায়রা আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও, ৮৭৬ পৃষ্ঠার রায়ে দায়রা আদালতের দেওয়া ১৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছে বেঞ্চ। পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। যদিও দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যাক্তিরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।