চারে তিন! পঞ্জাব বিধানসভার উপনির্বাচনে এটাই হল শাসকদল আম আদমি পার্টি (আপ)-এর ফলাফল। গত ২০ নভেম্বর পঞ্জাবের চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই জয়ী হন আপ প্রার্থীরা। চতুর্থ আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস।
সংশ্লিষ্ট যে চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল, সেই চার কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়করা প্রত্যেকেই গত লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ নির্বাচিত হন। সেই কারণেই ওই ফাঁকা আসনগুলিতে ভোট করাতে হয়। আসন চারটি হল - বরনালা, চব্বেওয়াল, ডেরা বাবা নানক এবং গিদ্দেরবাহা।
এর আগে এই চারটি আসনের মধ্যে দু'টি আসন ছিল আপ-এর দখলে এবং বাকি দু'টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। অর্থাৎ - এক্ষেত্রে আপ তার বিধায়ক সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
আপ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে - চব্বেওয়াল, ডেরা বাবা নানক এবং গিদ্দেরবাহা আসনে।
জাতীয়স্তরে কংগ্রেস এবং আপ - দুই দলই INDIA-এর সদস্য হলেও পঞ্জাবে তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ব্যাখ্যা, উপনির্বাচনের ফলাফল আপ এবং কংগ্রেস - দুই পক্ষকেই ভিন্ন ভিন্নভাবে আশাহত করতে পারে।
যেমন - পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিংয়ের স্ত্রী এই উপনির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, গিদ্দেরবাহা আসনে তাঁকে হারিয়ে দেন আপ প্রার্থী হরদীপ সিং ডিম্পি ধিঁলো।
অন্যদিকে, ডেরা বাবা নানক বিধানসভা কেন্দ্রে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ সুখজিন্দর সিং রণধাওয়ার স্ত্রী জতিন্দর কউর রণধাওয়া হেরে যান। জয়ী হন আপ প্রার্থী গুরদীপ সিং রণধাওয়া।
আবার, বরনালা আসনে কংগ্রেসের কুলদীপ সিং কালা ধিঁলোর কাছে পরাজিত হন আপ-এর হরিন্দর সিং ঢালিওয়াল। যিনি কিনা সাঙ্গুরের সাংসদ গুরমিত সিং মীত হায়েরের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।
আর, চব্বেওয়াল আসনে জয়লাভ করেন সাংসদ রাজ কুমার চব্বেওয়ালের ছেলে ইশাঙ্ক কুমার। তিনি পরাজিত করেন কংগ্রেসের রণজিৎ কুমারকে।
অনেকেই মনে করছেন আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে পঞ্জাব বিধানসভার এই উপনির্বাচন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পঞ্জাবের আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের কাছে অ্য়াসিড পরীক্ষার থেকে কম কিছু ছিল না। এবং সেই পরীক্ষায় কেজরিওয়াল ও তাঁর দল সফল হয়েছে বলেই মত তথ্যাভিজ্ঞ মহলের।
যদিও, চারটির মধ্যে তিনটি আসনে জিতলেও একটি বিধানসভা কেন্দ্রে দিল্লির শাসকদলকে পরাজিত হতে হয়েছে। যে আসনটিতে এত দিন তাদের ভিত পোক্ত ছিল বলেই মনে করা হত। তবুও, আপ-এর এই নির্বাচনী ফল যথেষ্ট ভালো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে, এই জয়ের জন্য আপ-এর পক্ষ থেকে পঞ্জাবের আমজনতাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের সবথেকে বড় সাফল্য হল - গিদ্দেবাহা আসনটি কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারা।