দিল্লিতে ৩ বছর ধরে ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির সিআর পার্ক এলাকায়। জানা যাচ্ছে, বছর ১৫-এর ওই ছাত্রীর গৃহশিক্ষকই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ২০২২ সালে যখন সে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত, সেই সময় থেকেই গৃহশিক্ষক ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল এবং যৌন নির্যাতন করছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। (আরও পড়ুন: মমতাকে নিয়ে ঠাট্টা করায় ব্যক্তির নামে ২০২২-এ হয় মামলা, 'ব্যর্থ' পুলিশকে HC বলল…)
অভিযুক্ত শিক্ষক বিজ্ঞান এবং অঙ্ক পড়ান। তবে তাকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।ইতিমধ্যে ওই গৃহশিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারা ৬ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর ধারা ৬৪ (ধর্ষণ) এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতাকে ইতিমধ্যেই দিল্লি এইমসে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: এমন ঘটনা কি আগেও ঘটেছে? পুনেতে বাসে পড়ে একাধিক কন্ডোম, অন্তর্বাস, মদের বোতল!)
নাবালিকা জানিয়েছে যে অভিযুক্ত তাকে কোচিং সেন্টারে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।ঘটনাটি প্রকাশ করলে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল ওই গৃহশিক্ষক।এমনকি তাঁকে মানসিক নির্যাতনও করতেন অভিযুক্ত।ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (দক্ষিণ) অঙ্কিত চৌহান বলেন, এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নাবালিকা জানিয়েছে যে, 'সে ২০২২ সাল থেকে টিউশন ক্লাসে পড়ছে। সেখানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে ওই শিক্ষক এবং হুমকিও দিয়েছে।পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।এক আধিকারিক জানান,"আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করছি এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নাবালিকার জবানবন্দি রেকর্ড করব।এরপরেই যথাযথ ব্যবস্থা নেব। (আরও পড়ুন: পুণেকাণ্ডে প্রকাশ্যে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট, ধর্ষণ হয় দু'বার)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মিলেছে প্রমাণ? মা-বাবা কেন হঠাৎ দিল্লির পথে?
আরও পড়ুন: পানাগড়কাণ্ডে সহযাত্রীদের ওপরও সন্দেহ? ‘নয়া দাবি’ শুনে সুতন্দ্রার মা বললেন…
নাবালকের বাবা জানিয়েছেন, তিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন, কিন্তু তার মেয়ের বোর্ড পরীক্ষার জন্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব করেছে।নাবালিকার বাবার কথায়,"আমার মেয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। সে প্রথমে তার মাকে সবকিছু বলে। আমরা তাকে তৎক্ষণাৎ টিউশনে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম, কিন্তু তার পরীক্ষা এগিয়ে আসায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সে এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে"।