পরপর দুই দিন ধরে উত্তর টিগ্রেতে বিমান ও ড্রোন হামলা। মৃত অন্ততপক্ষে ১০ জন। মেকেলেতে আবাসিক এলাকায় ড্রোন-হামলা। বুধবারের হামলায় ১৪ জন আহতও হয়েছেন। দুইটি ড্রোন থেকে আবাসিক এলাকা ডাগিম আমসালে হামলা করা হয়। ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরো পাঁচজন মারা যান।জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের সঙ্গে বাইরের বিশ্বের কোনও যোগ নেই। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসের একান্তই অভাব রয়েছে। চিকিৎসক কিবরন জানিয়েছেন, 'আমি কী করব জানি না। অক্সিজেন নেই। ওষুধ নেই। ফলে যাদের সুস্থ করে তোলা যেত, তাদের আমরা হারাচ্ছি।' আর এক চিকিৎসক বলেছেন, 'বেশ কিছু মানুষের অস্ত্রোপচার করা দরকার। কিন্তু তা করা সম্ভব হচ্ছে না।' এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ আরও বেশ কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।অস্ত্রবিরতির ডাকমঙ্গলবার মেকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একইরকমভাবে ড্রোন হামলা হয়েছিল। স্থানীয় টিগ্রে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন। ইথিওপিয়ার সেনার সঙ্গে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের লড়াই আবার শুরু হয়েছে। তার জেরেই এই ড্রোন-হামলা। টিপিএলএফের মুখপাত্র বলেছেন, আদ্দিস আবাবাতে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা শান্তি চাইছেন না। তারা লড়াই করতে চান। সেজন্যই বিমান ও ড্রোন হামলা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ সরকারের তরফে এই হামলা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। তবে ইথিওপিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, টিপিএলএফ যে আবার আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে, তাকে তারা স্বাগত জানাচ্ছেন। আফ্রিকান ইউনিয়ন এই শান্তিপ্রচেষ্টা করছে।(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)