ভারত এবং চিনের সম্পর্ক শুধুমাত্র পারস্পরিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করবে। চিনকে তৃতীয় কোনও দেশের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিবেচনা করার কোনও প্রবণতা এড়িয়ে চলতে হবে। ভারতীয় ও চিনা বিদেশমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এমনই বার্তা দিল সাউথ ব্লক। শুক্রবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) ২১ তম বৈঠকের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইউ। সেখানে আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন যে ভারত কোনও নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষের তত্ত্বে বিশ্বাস করে না। তিনি জানিয়েছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে ভারত এবং চিনকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তৃতীয় কোনও দেশের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিবেচনা করার প্রবণতা থেকে চিনকে বিরত থাকতে হবে। ভারত-চিনের সম্পর্ক যে দৃষ্টান্ত তৈরি করবে, তার উপর এশিয়ার সংহতি নির্ভর করবে।’ কূটনৈতিক মহলের মতে, আফগানিস্তানে যে তালিবান সরকারকে 'সমর্থন' করছে চিন এবং পাকিস্তান, সেই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ভারতের তরফে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারইমধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত ভারত-চিনের সংঘাতের বিষয়টিও দুই বিদেশমন্ত্রীর আলোচনায় উঠে এসেছে। দুই বিদেশমন্ত্রী জানান, আগের তুলনায় সীমান্তের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাকি সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করতে হবে বলে একমত হয়েছে ভারত এবং চিন। যাতে সীমান্ত বরাবর শান্তি এবং সুস্থিতি ফিরিয়ে আনা যায়। পরে সাউথ ব্লকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১৪ জুলাই তাঁদের শেষ বৈঠকের পর থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। গোগরা এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে এখনও কিছু বিষয় আছে।' সেই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য নিয়মিত সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়েও একমত হয়েছেন জয়শংকর এবং ওয়াং।