ওমিক্রনই কোভিডের শেষ ভ্যারিয়েন্ট নয়। এর পরে আবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে চলেছে। এমন কথা অনেক দিন ধরেই বলছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেই সব ভ্যারিয়েন্টই যে মারাত্মক আকার নেবে, এমন কথাও এত দিন কেউ বলেনি। তবে এবার কোভিডের পরের ঢেউ নিয়ে নানা মত উঠে আসছে। তার অর্থই হল কোভিডের পরের রূপ মারাত্মক আকার নিতেই পারে।
সম্প্রতি কানপুর আইআইটি-র গবেষকরা বলছেন, কয়েক মাসেই ভারতে এসে পড়তে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। সেক্ষেত্রে দু’টি প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা?
- কোভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের কারণ করোনাভাইরাসের কোন রূপটি হতে চলেছে? সেটি কি ওমিক্রন BA.2-এর কারণে হতে চলেছে?
- নাকি করোনার কোনও নতুন রূপ আসতে চলেছে? সেটিই চতুর্থ ঢেউয়ের জন্য দায়ী হবে?
এই দু’টি বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন আইআইটির-র গবেষকরা। আর সব ধরনের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই তাঁরা চতুর্থ ঢেউয়ের সময়টি আন্দাজ করেছেন।
কবে আসছে চতুর্থ ঢেউ?
কানপুর আইআইটি-র গবেষকরা বলছেন, ভারতে করোনা পৌঁছোনোর ৯৩৬ দিনের মাথায় দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ আসা উচিত। তেমনই বলছে, সংখ্যাতত্ত্ব। ভারতে করোনা পৌঁছেছিল ৩০ জানুয়ারি, ২০২০-তে। সেই হিসাবে এগোলে ২২ জুন, ২০২২-এ করোনার চতুর্থ ঢেউ ভারতে এসে পড়ার কথা। এমনটাই বলা হয়েছে কানপুর আইআইটি-র গবেষণায়।
সঙ্গে বলা হয়েছে, এটি শেষ হবে অক্টোবরের ২৪ তারিখ নাগাদ। আর অগস্ট মাের ১৫ তারিখ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে এই চতুর্থ ঢেউ মারাত্মক আকার নেবে।
মোটের উপর এমনই বলছে গবেষণা। কিন্তু এর পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
- টিকাকরণের হার বাড়লে চতুর্থ ঢেউয়ের ভয়াবহতা আরও কমে যেতে পারে।
- করোনাভাইরাস কেমন রূপ ধারণ করছে, তার উপর নির্ভর করবে চতুর্থ ঢেউ কতটা মারাত্মক আকার নেবে।
- মানুষের সচেতনতা আরও বাড়লে এই ঢেউয়ের সর্বোচ্চ মাত্রা তুলনায় কম হতে পারে।