ভারত তথা পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানির বিয়ে হতে চলেছে আগামী মাসে। রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে অনন্তর এই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে আগামী ১২ জুলাই থেকে। এর মধ্যেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে গিয়ে প্রথম নিমন্ত্রণ পত্রটি মহাদেবকে উৎসর্গ করেছেন মুকেশ পত্নী নীতা আম্বানি। এবার শাড়ি কিনতে বেনারস গেলেন তিনি।
মুকেশ আম্বানির বাড়ির অনুষ্ঠান হবে আর তাতে চমক থাকবে না, তা তো হয় না। ইতিমধ্যেই প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল দেশ-বিদেশের নামী দামী তারকাদের। এবার শুরু হয়েছে বিয়ের তোড়জোড়। ইতিমধ্যেই মন্দিরের আদলে তৈরি নিমন্ত্রণপত্র বিলি করা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নিমন্ত্রণ পত্রের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল যা দেখে অবাক হয়ে যান সকলে।
(আরও পড়ুন: মাটি ভর্তি স্যামসাং ভিভো- র Power Bank! ট্রেনে লোক ঠকানো ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন ব্যক্তি, দেখুন)
এবার বিয়ের বেনারসি কেনার উদ্দেশ্যে বেনারস পৌঁছলেন মুকেশ পত্নী। প্রথমে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ছেলের বিয়ের কার্ড অর্পণ করেন তিনি। তারপর দশাশ্বমেধ ঘাট দেখেন সন্ধ্যা আরতি। এরপর সোজা চলে যান বেনারসের সবথেকে বিখ্যাত শাড়ির দোকানে।
পছন্দ করে বেছে বেছে বেনারসের সেরা শাড়ি গুলি দেখেন তিনি, কিনে ফেলেন প্রায় ১০০ - টির বেশি শাড়ি। নিজের জন্যও শাড়ি অর্ডার দেন তিনি। তবে শুধু শাড়ি কিনে ক্ষান্ত হননি নীতা, দেখা করেন বেনারসের শাড়ি শিল্পীদের সঙ্গেও। জেনে নেন শাড়ির বুনন নকশা সম্পর্কে বিশদ কাহিনী।
এই প্রসঙ্গে রামনগরের এক শাড়ি প্রস্তুতকারক অঙ্গিকা কুশওয়াহা বলেন, নীতা আম্বানির যে শাড়িটির সব থেকে বেশি পছন্দ হয়েছে, সেটি হল ‘লক্ষ বুটির শাড়ি’। এই শাড়িটি লক্ষ লক্ষ সূক্ষ্ম কারুকার্য দিয়ে তৈরি করা হয়। মূলত সোনা এবং রুপোর সুতো ব্যবহার করা হয় এই শাড়িটি তৈরি করার সময়। নূন্যতম এক মাস সময় লাগে একটি শাড়ি ডিজাইন করতে। স্বাভাবিকভাবেই এই অসাধারণ কারুকার্য করা শাড়িটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিয়েছেন নীতা।
(আরও পড়ুন: ঘর সাজাতে পারেন ঝুলন্ত গাছ দিয়ে! কোন কোন হ্যাংগিং প্লান্ট এ জন্য ভালো)
তবে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে তা হল, বেনারসে গিয়ে একটি ভীষণ সাধারন একটি দোকানে গিয়ে সকলের সঙ্গে বসে চাট খেয়েছেন নীতা আম্বানি। যে মানুষটির একটি ইশারায় দেশ-বিদেশের রেস্তোরাঁ থেকে খাবার এসে যায়, সেই নীতা আম্বানি একজন সাধারণ ক্রেতার মত বেনারসের একটি ভীষণ সাধারন দোকানে বসে চাট উপভোগ করেছেন, যা সত্যি প্রশংসার যোগ্য।