মালবাহী ট্রেন চালকের বুদ্ধিমত্তার কারণে প্রাণ রক্ষা পেয়েছে ১০টি সিংহের। সোমবার ভোরের ঘটনা। গুজরাটের আমরেলি জেলার পিপাভাভ বন্দরের কাছে একটি মালবাহী ট্রেনের চালক ট্র্যাকে বসে ১০টি সিংহকে বাঁচাতে এমন কিছু করেছেন, যা রীতিমত হতবাক করেছে রেলওয়ের আধিকারিকদেরও। পশ্চিম রেলওয়ের ভাবনগর সেকশন দ্বারা জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে মুকেশ কুমার মীনা পিপাভাভ পোর্ট স্টেশন থেকে সাইডিং পর্যন্ত (প্রধান করিডোরের পাশে একটি ছোট ট্র্যাক) একটি মালবাহী ট্রেন চালানোর সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
কীভাবে প্রাণ বাঁচল সিংহগুলোর
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চালক মুকেশ কুমার মীনা দ্রুত গতিতে পণ্যবাহী ট্রেনটি চালাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তাঁর চোখ পড়েছিল সিংহগুলোর ওপর। তিনি দেখতে পেয়েছিলেন যে ১০টি সিংহ ট্র্যাকে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। তা দেখে মুকেশ সঙ্গে সঙ্গে জরুরি ব্রেক কষে পণ্যবাহী ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি মালগাড়ি থামিয়ে অপেক্ষা করছিলেন, যতক্ষণ না সিংহটি ট্র্যাক থেকে উঠে চলে যায়। সিংহরা উঠে যাওয়ার পর, তিনি পণ্যবাহী ট্রেনটিকে গন্তব্যে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেব। চালকের এই প্রশংসনীয় কাজের প্রশংসা করেছেন রেলের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: (Healthy Seeds: সারা রাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে খান ! হজমের সমস্যা দূরে পালাবে)
উল্লেখ্য, পশ্চিম রেলওয়ের একটি রিলিজে বলা হয়েছে যে সিংহ এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য ভাবনগর বিভাগ ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেনের চালকরা এই রুটে সতর্ক থাকেন এবং নির্ধারিত গতিসীমা অনুযায়ী ট্রেন চালান। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে উত্তর গুজরাটের পিপাভাভ বন্দরের সাথে সংযোগকারী এই রেলপথে গত কয়েক বছরে বহু সিংহের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের বন বিভাগ নিয়মিত ট্র্যাকের পাশে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করে, যাতে সিংহদের ট্রেনে আঘাত না লাগে।
আরও পড়ুন: (Marathon: ১২ দিন দৌড়ে থাইল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছোলেন মহিলা, গরমে গলে গেল জুতো)
এ প্রসঙ্গে নতুন কী নির্দেশনা দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট
সম্প্রতি, গুজরাট হাইকোর্ট, অস্বাভাবিক কারণে এশিয়াটিক সিংহের মৃত্যুর বিষয়ে একটি পিআইএলের শুনানি করে, রাজ্য সরকার এবং রেল বিভাগকে সিংহদের ট্রেনে সংঘর্ষ থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এদিকে ২০২০ সালের জুন মাসে পরিচালিত সর্বশেষ আদমশুমারি অনুসারে, গুজরাটে ৬৭৪টি এশিয়াটিক সিংহ রয়েছে।