দেশে শিশুদের মধ্যে স্থূলতার হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এখন ঘুমের খারাপ অভ্যাস একটি নতুন এবং গুরুতর হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কেবল খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং কম শারীরিক কার্যকলাপই নয়, পর্যাপ্ত এবং ভালো ঘুম না পাওয়ার কারণেও শিশুদের মধ্যে স্থূলতা এবং মস্তিষ্কের বিকাশের সমস্যা বাড়ছে। এইমসের নিউরো পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডঃ বিশ্বরূপ বিশ্বের অনেক দেশে পরিচালিত শিশুদের ঘুম, স্থূলতা এবং মস্তিষ্কের গঠনের মধ্যে সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী গবেষণার বিশ্লেষণের উপর একটি সম্পাদকীয় মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।
ইন্ডিয়ান পেডিয়াট্রিক জার্নালে প্রকাশিত এই সম্পাদকীয় মন্তব্যে অন্তর্ভুক্ত গবেষণায় দেখা গেছে যে কম ঘুম মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশের আয়তন এবং আকারের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।
- সর্বশেষ পরিসংখ্যান দেখায় যে ভারত সহ অনেক দেশে শিশুদের মধ্যে স্থূলতার হার ১৮% এ পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি তিনজন শিশু বা কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজন পর্যাপ্ত ঘুম পাচ্ছে না এবং যারা ঘুমাচ্ছে তাদের ঘুমের মান সন্তোষজনক নয়।
- এই পরিস্থিতি স্থূলতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিশুদের মানসিক ক্ষমতা এবং আচরণকেও প্রভাবিত করছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে ঘুমের ব্যাঘাত শিশুদের হরমোনের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে, যার ফলে লেপটিন এবং ঘ্রেলিনের মতো ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
- এর ফলে শিশুরা বেশি খায় এবং নিষ্ক্রিয় থাকে, যা স্থূলতা বৃদ্ধি করে। অধ্যাপক বিশ্বরূপ বলেন যে অনিদ্রা হিপ্পোক্যাম্পাস এবং ফ্রন্টাল গ্রে ম্যাটারের পরিমাণ হ্রাস করে। একই সাথে, স্লিপ অ্যাপনিয়া মস্তিষ্কের অনেক অংশে গ্রে ম্যাটারের পরিমাণ হ্রাস করে।
- ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে স্থূল শিশুদের মস্তিষ্কে, বিশেষ করে প্যালাডাম এবং পুটামেন নামক অংশগুলিতে পরিবর্তন দেখা গেছে। এই অংশগুলি ঘুম, ক্ষুধা এবং তৃপ্তির মতো কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে স্থূল শিশুদের ঘুমের ব্যাধিগুলি গভীরভাবে তদন্ত করার জন্য পলিসমনোগ্রাফির মতো উন্নত কৌশল ব্যবহার করা উচিত, যাতে এই সমস্যাগুলির চিকিৎসার দিকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
সূত্র: হেমবতী নন্দন রাজৌরা
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।