বেশি ওজনের সমস্যায় ভুগছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে জমছে ফ্যাট। একের পর এক বাসা বাঁধছে রোগ। সম্প্রতি এই বিষয়ে সচেতনতা প্রসারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় সিঙাড়া, জিলিপি, কচুরির মতো খাবারকে সিগারেটের সঙ্গে এক তালিকায় রাখা হয়েছে। এবার দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর গলাতেও শোনা গেল এক সুর।
আরও পড়ুন - নিপা ত্রাস কেরলে! মৃত্যু ১, নজরদারিতে ৫৪৩ জন, কী কী উপসর্গ এই সংক্রমণের?
‘মানসিক অবসাদ কমাতে হলে…’
সম্প্রতি ভুবনেশ্বর এইমসের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। দেশে স্থূলত্ব বা ওবেসিটি ও মানসিক অবসাদের পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, মানসিক অবসাদ ওষুধ ছাড়াই সারিয়ে তোলা সম্ভব। জীবনযাপনে কিছু বদল আনলে মানসিক অবসাদ অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যায়। এই সূত্রেই রাষ্ট্রপতির বলেন, ‘জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন মানসিক শান্তি দিতে পারে। যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়াম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক হতে পারে।’
‘স্থূলত্ব কমানোর উপায়…’
মানসিক অবসাদের পাশাপাশি বেশি ওজনের সমস্যা নিয়েও কথা বলেন দেশের রাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, স্থূলত্ব একটি জীবনযাত্রার রোগ। পাশাপাশি এটিও উদ্বেগের বিষয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও এই দিন বলে দিয়েছেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মুর কথায়, ‘একটি সুশৃঙ্খল রুটিন, খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’
আরও পড়ুন - ৫০০০ পথকুকুরদের রোজ খাবার খাওয়াবে বেঙ্গালুরু প্রশাসন! দেবে টিকাও, কেন এই উদ্যোগ?
এইমসের প্রশংসা রাষ্ট্রপতির মুখে
প্রসঙ্গত, এই দিন ৩১ জন শিক্ষার্থীকে ৫৯টি স্বর্ণপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে ১৯৬ জন এমবিবিএস স্নাতক সহ ৬৪৩ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করেন তিনি। এইমসের প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে। দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘এইমস ভুবনেশ্বর জাতীয় স্তরে খ্যাতি অর্জন করেছে এবং এইমস নয়াদিল্লির পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।’ তবে একই সঙ্গে ওড়িশার স্থানীয় কিছু সমস্যার দিকেও নজর দিতে বললেন। জাপানি এনসেফালাইটিস এবং অন্যটি হল সিকেল সেল অ্যানিমিয়া নিয়ে চিকিৎসকদের আরও মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন তিনি।