Lip Blushing Trend: গাল ছেড়ে এখন ঠোঁটেও ব্লাশ করছে সবাই! পুরোপুরি রঙিন ঠোঁট পেতে কীভাবে কী করতে হচ্ছে?

ট্রেন্ডে এখন নতুন ধরনের মেকআপ স্টাইল। মানুষ এখন আর লিপ্সটিক বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে সাময়িক সৌন্দর্যে খুশি নন। ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে পার্মানেন্ট সৌন্দর্য চাইছেন। তাই এবার ট্রেন্ডের এসেছে ঠোঁট ব্লাশ। গাল ছেড়ে এখন ঠোঁটেও পাকাপাকি রং করার মেকআপ কৌশল এটি। এই ট্রেন্ড খুব দ্রুতই মনোযোগ কেড়েছে নেটিজেনদের। অনেকেই 'লিপ ব্লাশিং' ট্রেন্ডে সামিল হয়ে, উজ্জ্বল গোলাপী ঠোঁট বানাতে চাইছেন। সেই ভিডিয়োও শেয়ার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এইচটি ডিজিটালের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, মেডিকেল কসমেটোলজিস্ট এবং অ্যান্টি-এজিং বিশেষজ্ঞ,বলেছেন, এই লিপ ব্লাশিং' ট্রেন্ডে গা ভাসানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা জরুরি৷আরও পড়ুন: (Best Warm Drinks in Winter Except Tea: চা, কফি বাদে শীতে চা, কফি বাদে এই সব গরম এই সব গরম পানীয়তে মন ডোবান)লিপ ব্লাশিং কীপ ব্লাশিং হল ঠোঁটে লাগানো একটি ট্যাটু। যা কিছু সময়ের জন্যই স্থায়ী হয়। ঠোঁটের রঙ উজ্জ্বল রাখতে, পিগমেন্টেশন লুকিয়ে রাখার জন্য এটা করা হয়। কারও ঠোঁট যদি সমান আকৃতির না হয়, এটি ঠোঁটের অসাম্যতাও ঠিক করতে সাহায্য করে। ডাঃ জারা দাদির মতে, যদিও ঠোঁট লাল করা সম্প্রতি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তবে এটি আসলে কয়েক বছর ধরেই চলে আসছে। ভারতে ঠোঁটেও ব্লাশ এত জনপ্রিয় কেনডাঃ জারা দাদি ব্যাখ্যা করেছেন যে ঠোঁটে হাইপারপিগমেন্টেশন (ত্বকের কালো হওয়া), ভারতে অনেকের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা, যে কারণে ঠোঁটেও ব্লাশ করা একটি জনপ্রিয় ট্রিটমেন্ট ট্রেন্ড হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এই সীমিত সময়ের জন্য স্থায়ী ট্রিটমেন্ট করলে, ঠোঁট ১ থেকে ১.৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।কীভাবে এই ট্রিটমেন্ট করা হয়ডাঃ দাদি বলেছেন যে ঠোঁট যদি খুব কালো হয়, প্রথম সেশনে ঠোঁটের গাঢ় রং কমিয়ে আনা হয়। দ্বিতীয় সেশনে গ্রাহকের পছন্দ মতো রং যোগ করা হয়। একটি কলমের সঙ্গে ছোট্ট সূঁচ ব্যবহার করে, এই রং ঠোঁটে লাগানো হয়। ক্রমাগত ঠোঁটে সুঁচ ফোটানোর সময় যাতে ব্যাথা না লাগে, তা নিশ্চিত করতে, ট্রিটমেন্টের আগে একটি অসাড় ক্রিম ব্যবহার করা হয়। আরও পড়ুন: (চারপাশে শুধু পরনিন্দা পরচর্চা, অসহ্য লাগে শুনতে শুনতে? মন ভালো রাখতে মেনে চলুন এই নীতি)এই ব্লাশ কি আপনার ঠোঁটের আকার পরিবর্তন করেডাঃ দাদির দাবি যে ঠোঁট ব্লাশ ঠোঁটের আকার পরিবর্তন করে না। পরিবর্তে, এটি ঠোঁটের ন্যাচারাল আকৃতি আরও উন্নত করে এবং একটি নরম ও ন্যাচারাল আভা নিয়ে ঠোঁটে। ট্রিটমেন্টের পরে ঠোঁট বেশি ফোলা লাগলেও, এটি সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।তাহলে কীভাবে বড় ঠোঁট পাওয়া যায়ডাঃ দাদি এ প্রসঙ্গেও বলেছেন, আপনি যদি সত্যিই আপনার ঠোঁট বড় করতে চান, তাহলে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ফিলার হল সেরা বিকল্প। এই ফিলারগুলি আসলে আপনার ঠোঁটের ভলিউম বাড়ায়, ঠোঁটকে আরও ভরাট দেখায়। সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা টিপসসৌন্দর্যের নানান ট্রিটমেন্টের মতো, ঠোঁট ব্লাশ করাও কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ডাঃ দাদি যে কোনও পরিষ্কার এবং নিরাপদ পরিবেশে এই ধরনের ট্রিটমেন্ট করার পরামর্শ দেন। ট্রিটমেন্টের পরও কেয়ার করা জরুরি বলে দাবি করেন তিনি।