Kali Puja 2024 Bhoot Chaturdashi: কালীপুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে ভূত চতুর্দশী। বলা হয়, এই দিন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটানোর দিন। চামুণ্ডা তাঁর ভূত ও প্রেতাত্মাদের নিয়ে ভক্তের বাড়িতে আসেন ভূত চতুর্দশীতে। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠা করেন দেবী।
দৈত্যরাজ বলির কাহিনি
কারও কারও মত অনুযায়ী, এই দিন দৈত্যরাজ বলি পৃথিবীতে এসেছিলেন। পুজো নিতে তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে এসেছিলেন। এই সাঙ্গপাঙ্গরা ঘটনাক্রমে ভূত অর্থাৎ প্রেতাত্মা। সেই থেকেই ভূত চতুর্দশীর ধারণা জন্ম নিয়েছে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে মানুষের পূর্বপুরুষ নিয়েও প্রচলিত রয়েছে একটি মত। সেই মতটিকেই মূলত বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন - বৃন্দাবন থেকে রাশিয়া, ২০২৪-এ বারাসতের সেরা ১০ পুজো! না দেখলেই নয়
পূর্বপুরুষদের আগমন
অনেকেই বিশ্বাস করেন, কালীপুজোর এই রাতে পূর্বপুরুষদের আত্মা পৃথিবীতে আসে। তাঁদের মুক্তির উদ্দেশ্যেই জ্বালাতে হয় চোদ্দ প্রদীপ। তবে এই চোদ্দ প্রদীপ তাঁদের উদ্দেশ্যে জ্বালানোর পাশাপাশি অশুভ শক্তি বিনাশের ইঙ্গিতও দিয়ে থাকে। তাই ভূত চতুর্দশীর দিন চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। বৈজ্ঞানিক দিক থেকে দেখলেও কিন্তু এর উপকারিতা অস্বীকার করা যায় না। কারণ চোদ্দ শাকের প্রতিটি নানারকম গুণে সম্বলিত।
আরও পড়ুন - মা গঙ্গা থেকে নটী বিনোদিনী! ২০২৪-এ মধ্যমগ্রামের এই ১০ পুজো না দেখলেই নয়
কেন জ্বালানো হয় চোদ্দ প্রদীপ?
ভিন্ন ভিন্ন মত প্রচলিত থাকলেও চোদ্দ প্রদীপ নিয়ে সাধারণত একটি মতের কথাই শোনা যায়। তা হল অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা। প্রায় প্রতিটি মতের সঙ্গেই অশুভ শক্তির কাহিনি জড়িত রয়েছে। যেই শক্তিকে বিনাশ করতেই জ্বালানো হয়ে থাকে প্রদীপ।
চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি…
চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতিও প্রচলিত রয়েছে এই দিন। শাস্ত্র মতে, এই দিন শাঞ্চে, হিলঞ্চ, পলতা, শুলফা, গুলঞ্চ, ঘেঁটু, শুশুনি, ওল, কেউ, বেতো, কালকাসুন্দে, নিমপাতা, জয়ন্তী, সরিষা — এই চোদ্দ শাক খেতে হয়। বাংলার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে এই শাকের নাম এক থাকে না। স্থানবিশেষে বদলে বদলে যায়।
প্রদীপ জ্বালানোর রীতি
ভূত চতুর্দশীর দিন প্রথমে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে নিতে হয়। এরপর চোদ্দ শাক রেঁধে খেয়ে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি।