
Baji
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus
HT Bangla Special: পরিসংখ্যান বলছে ১ কোটির বেশি। হ্যাঁ, ভারতে মৃগীতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১.২ কোটি। যা গোটা বিশ্বের মৃগী রোগীর সংখ্য়ার প্রায় ছয়ভাগের একভাগ। গোটা দেশে প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে অন্তত ৩-১১ জন মৃগীতে আক্রান্ত হন। গ্রামে এই সংখ্যা বেশি বৈ কম নয়। স্বাভাবিকভাবে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার অভাবই তার কারণ। তবে এসবের মাঝেও উদ্বেগের বিষয়, ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃগী রোগের কোনও চিকিৎসা হয় না। কুসংস্কার, আর্থিক সমস্যা যার নেপথ্যে থাকা কারণ। সম্প্রতি খিঁচুনি বা মৃগী রোগের নানা প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে বিশদে কথা বললেন মণিপাল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট চিকিৎসক কৌশিক দত্ত।
খিঁচুনির মূল সমস্যা এটি বলেকয়ে আসে না। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ‘এর জেরে অনেকের স্বাভাবিক জীবনধারা বিপর্যস্ত হয়। একা একা কোনও কাজ করা সমস্য়ার হয়ে পড়ে। গাড়ি চালানো, অফিস বা স্কুল যাওয়া, একা চলাফেরা মুশকিল হয়ে ওঠে। তবে সঠিকভাবে রোগটির চিকিৎসা করা হলে খিঁচুনিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।’
আরও পড়ুন - থাইরয়েডের মাংসপিণ্ড থেকে ক্যানসারের ভয়? HT বাংলায় আলোচনা করলেন চিকিৎসক
চিকিৎসক কৌশিক দত্তের কথায়, ‘মৃগী স্নায়ুর রোগ। মস্তিষ্কের কিছু অস্বাভাবিক কার্যকলাপের জেরেই খিঁচুনির সমস্য়া দেখা দেয়। তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর চিকিৎসা রয়েছে। অনেকেই সেই বিষয়ে অবগত নন। ফলে রোগটির মোকাবিলা এখনও ততটা সহজ নয়।’ খিঁচুনি যে শুধু শরীরের উপর প্রভাব ফেলে, তেমনটা নয়। চিকিৎসকের কথায়, ‘এই রোগের মানসিক প্রভাব যথেষ্ট। অধিকাংশ মৃগী রোগীরাই উদ্বেগ, অবসাদ ও একাকীত্বের সমস্যায় ভোগেন। যা তাদের আরও দুর্বল করে দেয়। এমন রোগীদের এড়িয়ে চলার মতো কুসংস্কার আরও খারাপ প্রভাব ফেলে রোগীর মনে।’
আরও পড়ুন - ভ্যালেনটাইনস ডে সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে কাটাতে চান? খোঁজ রইল কলকাতার সেরা ৫ স্পটের
খিঁচুনির চিকিৎসা করার জন্য বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নানা পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পরিচিত একটি পদ্ধতি অ্যান্টি-সিজার মেডিকেশন (ASM)। চিকিৎসকের কথায়, ‘Levetiracetam ও Lacosamide-র মতো ওষুুধগুলিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একদিকে কম, অন্য়দিকে রোগীর সুস্থ হওয়ার হারও বেশি। এছাড়াও, প্রযুক্তি এখন এই রোগ নিরাময়ে নানাভাবে সাহায্য় করছে। অত্যাধুনিক সিজার ট্র্যাকিং অ্যাপ, পরিধানযোগ্য ডিভাইস (wearable tech) এই রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।’
তবে চিকিৎসার পাশাপাশি একজন মৃগী রোগীকে সুস্থ রাখতে প্রাথমিকভাবে যা প্রয়োজন, তা সচেতনতা। নিউরোলজিস্ট কৌশিক দত্তের কথায়, ‘রোগটি সম্পর্কে মানুষ যত সচেতন হবেন, ততই সুস্থতার হার বাড়বে। বর্তমানে টেলিমেডিসিনসহ নানা পরিষেবাই উপলব্ধ, এর সঙ্গে চাই মানুষের সচেতনতা।’
৳7,777 IPL 2025 Sports Bonus