শীতকালে বাঙালি বাড়িতে গুড়, কড়াইশুঁটির কচুরি, ইত্যাদি হবেই। এ যেন এক বাঁধাধরা জিনিস। এখন তো আবার ফিশ কচুরি পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু কখনও পালং শাকের কচুরির কথা শুনেছেন? বা খেয়েছেন? খাননি তো, জানি। অথচ পালং শাক কিন্তু বাজারে সারা বছরই পাওয়া যায়। তাহলে দেখুন পালং শাকের কচুরি কীভাবে বানাবেন। এটা যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর।পালং শাকের কচুরি বানানোর পদ্ধতি দেখুন।উপকরণ: পালং শাকের কচুরি বানানোর জন্য লাগবে এক আঁটি পালং শাক, ময়দা, দু তিন কুচি আদা, দু চারটে কাঁচা লঙ্কা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, জোয়ান, পাঁচ ফোড়ন, নুন স্বাদ মতো, চিনি পরিমাণ মতো, সাদা তেল।পদ্ধতি: পালং শাকের আঁটিটাকে ভালো করে ধুয়ে নিন সবার আগে। এরপর সেটাকে মিক্সিতে দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন আদা কুচি এবং কাঁচা লঙ্কাগুলো। এবার একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটাকে মিক্সি থেকে বের করে নিন। এবার কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে তার মধ্যে দিন তেজপাতা আর পাঁচ ফোড়ন। একটু নেড়ে তাতে শুকনো লঙ্কা আর জোয়ান দিন। আবার একটু নেড়ে এই পালং শাক, লঙ্কার মিশ্রণ দিয়ে দিন। সঙ্গে দিয়ে দিন হলুদ গুঁড়ো, নুন, চিনি। সবটাই পরিমাণ মতো।এবার এটাকে ততক্ষণ নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না জল শুকিয়ে যাচ্ছে। ভালো করে মশলাগুলো পালং শাকের সঙ্গে মেশাবেন। তারপর জল শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হলে এটার থেকে তেজপাতা আর শুকনো লঙ্কা বের করে নিন।এবার একটা বাটিতে পরিমাণ মতো ময়দা, চিনি এবং এই পালং শাকের মিশ্রণ নিয়ে মাখুন। প্রয়োজনে জল দিন। মেখে নিয়ে মিনিট ১৫ সরিয়ে রাখুন।মিনিট ১৫ পর ময়দা মাখা থেকে লেচি কেটে সেটাকে কচুরি আকারে বেলুন। তারপর কড়াইতে সাদা তেল ডিপ ফ্রাই করার জন্য। তেল গরম হলে কচুরিগুলো একে একে দিন। ভেজে তুলে নিলেই তৈরি পালং শাকের কচুরি। এবার এটাকে আলুর দম বা অন্য কিছুর সঙ্গে পরিবেশন করুন।