কলকাতার পুজো তো প্রতিবারই নজরকাড়া হয়। তবে এবার নজর কাড়ল রাজস্থানের দুর্গাপুজো। প্রায় তিন মাস ধরে বাঙালি শিল্পীদের প্রচেষ্টায় এক অভূতপূর্ব দুর্গাপুজোর আয়োজন হল সেখানে। রাজস্থানের চুরু জেলার এখন খবরের শিরোনামে একটি বিশেষ কারণে। আর তা হল মায়ের হিরের সাজ। হিরের আভরণে সেজে উঠেছেন মা দশভুজা। তাঁর সর্বাঙ্গের আভরণে ব্যবহার করা হয়েছে হিরে। বিশেষ মার্কিনি হিরেতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে দেবী দুর্গার এই প্রতিমা। সব মিলিয়ে মোট এক লাখ পঁচিশ হাজার হিরে ব্যবহার করা হয়েছে। তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রাজস্থানের চুরু জেলার এই দুর্গাপুজো। যা রীতিমতো নজর কাড়ছে গোটা ভারতের।
প্রতিবছরই দুর্গাপুজোয় নতুন নতুন থিম গড়ে তোলেন দক্ষ শিল্পীরা। মাকে ফুটিয়ে তোলেন নব নব রূপে। আর এই কারণেই কলকাতার দূর্গা পুজোয় প্রায় প্রতি বছর দেখা যায় ব্যাপক হারে উন্মাদনা। তবে এই বছর রাজস্থানে একটু অন্য ধারার দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হল। সেই দুর্গাপূজার নজর কাড়ল গোটা দেশের। এক লাখ ২৫ হাজার হিরে দিয়ে গড়া হলো দুর্গা প্রতিমা।
চুরু জেলার সৎসঙ্গ ভবনে এই দুর্গা প্রতিমা শোভা পাচ্ছে। সম্প্রতি পন্ডিত বালমুকুন্দ একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রতিমাটির নিয়ে বিশদে জানিয়েছেন। কীভাবে প্রতিমাটি গড়ে তোলা হল, সে কাহিনী বিশদে বলেন তিনি। গোটা পরিকল্পনাটির পিছনে অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন ব্যাস। তিনি নিজে আমেরিকা গিয়ে বাছাই করে হিরে কিনে আনেন।
এরপর গোটা ভারতের নানা জায়গায় থাকা দশ বাঙালি শিল্পীর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেন ব্যাস। তার পরবিভিন্ন রঙের হিরে দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা নির্মাণের কাজ। সংবাদমাধ্যমকে বালমুকুন্দ বলেন, এই কাজে চার মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি হিরে বাছার সময় খুব তৎপর থাকতে হয়েছিল। আলাদা করে ব্যস ৫০ হাজার টাকাও দেন এই পুজোতে। শিল্পীদের দিয়ে গোটা কাজটি করানোর সময় তিনি নিজেও উপস্থিত থাকতেন। নিয়মিত উপস্থিত থেকে ও দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করার পর অবশেষে নজরকাড়া রূপ পেয়েছে প্রতিমাটি। আপাতত, সেটাই নজর কাড়ছে দেশের নানা প্রান্তের মানুষদের।