আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। পুজো এল বলে। তবে এবার যেন সেই পুজো পুজো গন্ধটা কেমন ফিকে হয়ে গিয়েছে। তবুও বছরের এই কয়েকটা দিনের জন্য অপেক্ষা। এবার যদি কলকাতার ভিড় এড়িয়ে উত্তরবঙ্গের পুজো দেখতে চান তবে যোগাযোগ করতে পারেন এনবিএসটিসির সঙ্গে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এবারও পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করছে।
NBSTC-এর ওয়েবসাইট খুললেই জ্বলজ্বল করছে পুজো পরিক্রমার সেই নোটিশ। সেখানে লেখা থাকছে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা ১০টা থেকে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস কাউন্টার থেকে পুজো পরিক্রমার টিকিট বিক্রি করা হবে। এবার পুজো পরিক্রমা হবে দুদিন। চতুর্থী ৭ই অক্টোবর আর পঞ্চমী ৮ই অক্টোবর। পঞ্চমীর টিকিট বিক্রি শেষ করে চতুর্থীর টিকিট বিক্রি শুরু হবে। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫০টাকা। (ডিনার ও সান্ধ্য টিফিন সমেত)। টিকিট বিক্রি হবে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে।
অর্থাৎ সরকারি বাসে চেপে ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখাও হবে আবার রাতে এসে রান্না করে খাওয়ার ঝামেলা নেই। আপনাদের ডিনার ও সন্ধ্যে বেলার টিফিনের ব্যবস্থাও করা হবে। এককথায় ঘোরা, খাওয়া দাওয়া সবের দায়িত্বই নিচ্ছে নিগম কর্তৃপক্ষ।
এবার একঝলকে দেখে নেওয়া যাক গোটা বিষয়টি।
কবে থেকে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে?
২২ সেপ্টেম্বর থেকে বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।
কোথায় এই পুজো পরিক্রমার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে?
শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে এই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
কোন দুদিন এই পুজো পরিক্রমা হবে?
চতুর্থী ও পঞ্চমী এই পুজো পরিক্রমা হবে। কারণ ষষ্ঠীর দিন ব্যারিকেড থাকার জন্য গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগেই দেখে নিতে পারেন বিগ বাজেটের পুজোগুলি।
কোথা থেকে এই বাস ছাড়া হবে?
তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে এই বাস ছাড়া হবে। সন্ধ্যা ৬টার সময় এসে রিপোর্টিং করতে হবে। পরিক্রমার জন্য ৩৯টি আসন থাকছে। তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে বাস ছেড়ে চম্পাসারি, রেল কলোনি, দেশবন্ধুপাড়া, সুভাষপল্লি, রবীন্দ্রনগর, রথখোলার ঠাকুর দেখানো হবে। রাতের খাবার, সন্ধ্যার টিফিন সবটাই দেবে নিগম। টিকিটের মধ্যেই এই টাকা ধরা থাকছে। রাতে সেই গাড়ি ফের ফিরে আসবে শিলিগুড়ির বাস টার্মিনাসে। এরপর সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। যারা পুজোর সময় উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাবেন তাঁরা একটি সন্ধ্যা এনবিএসটিসির পুজো পরিক্রমায় অংশ নিতে পারেন।