স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের বাবা বিখ্যাত অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায় মারা গিয়েছিলেন ২০২০ সালের ১১ মার্চ। বাবার মৃত্যুতে খুব স্বাভাবিকভাবেই ভেঙ্গে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। মহামারির বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের নববর্ষ একাই পালন করতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তারপর এটাই হয়ে যায় অভ্যাস। ২০২০ থেকে ২০২৫, দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচ পাঁচটা বছর।
আবার সবাই এক নতুন বছর শুরু করার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। আবার বাবা বিহীন নতুন একটি বছর পালন করবেন স্বস্তিকা। নববর্ষের আনন্দের মাঝেই তাই নায়িকার মনে বেজে ওঠে বিষাদের সুর। মনে পড়ে যায় বাবা না থাকার যন্ত্রণার কথা।
২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল বাবাকে স্মরণ করে স্বস্তিকা লিখেছিলেন, ‘এমন বিষন্ন দিনেও বৈশাখ আসে, আসে একলা সকাল... শুভ হোক নববর্ষ... তোমার আমার। ভালো থেকো বাবা।’ পাঁচ বছর পর আবার সেই পুরনো পোস্ট শেয়ার করে স্মৃতি বিজড়িত হয়ে উঠলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: বলিউডে প্রত্যাবর্তন ফাওয়াদের,সমর্থন জানিয়ে সুস্মিতা বললেন, 'শিল্পে স্বাধীনতা…'
আরও পড়ুন: টিকিট কেটেও মেলেনি হৃতিকের ছবি, ভক্তদের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি আয়োজকদের
আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বাবার সঙ্গে যে ছবিটি স্বস্তিকা পোস্ট করেছিলেন, সেই ছবিতে বাবার সঙ্গে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় স্বস্তিকাকে। মেয়েকে যেন কি একটা বলছেন সন্তু মুখোপাধ্যায়, যা শুনে প্রান খুলে হাসছেন স্বস্তিকা। এ যেন বাবা মেয়ের একান্ত আলাপ।
২০২০ সালের সেই স্মৃতি আবার সকলের সঙ্গে ভাগ করে স্বস্তিকা পুনরায় একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্মৃতি বিজড়িত হয়ে তিনি লেখেন, ‘পাঁচ বছর হয়ে গেল, পাঁচটা নতুন বছর তোমাকে ছাড়া। বৈশাখ আসুক বা না আসুক, রোজ একই কথা বলে যাই- ভালো থেকো বাবা। সব থেকে প্রিয় ছবিটা একলা বৈশাখের জন্য তোলা থাক। আপনাদের নতুন বছর বাবা মায়েদের সঙ্গে কাটুক, সবার সব ভালো হোক।’
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে গেল ‘দ্যা দিল্লি ফাইলস’ - এর শ্যুটিং, ক্ষুব্ধ বিবেক বললেন,'অসম্ভব!'
আরও পড়ুন: কেশরী চ্যাপ্টার ২ দেখে আপ্লুত রানা দাগ্গুবতি, বললেন, 'এমন সিনেমা সব ভাষায়...'
স্বস্তিকার এই পোস্ট দেখে খুব স্বাভাবিক ভাবেই চোখে জল চলে এসেছে নেটিজেনদের। কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘বিশেষ বিশেষ দিনে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে বড্ড মনে পড়ে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘বাবাকে ছাড়া আমার প্রথম পয়লা বৈশাখ এবার।’ বাবা এবং মেয়ের এই সম্পর্ক যে কোনওদিন পুরনো হয় না, সে কথাও কমেন্ট বক্সে লিখে জানিয়েছেন নেটে দুনিয়ার বাসিন্দারা।