অপর্ণা সেনের জীবন নিয়ে এবার সুমন ঘোষ ডকুমেন্টারি ফিল্ম আনলেন। সেই ছবিতেই উঠে এল তাঁর অভিনেত্রী থেকে পরিচালক, এডিটর হওয়ার সফর। জানা গেল বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মতামত, ছবির সঙ্গে জড়িত নানা অজানা গল্প।
অপর্ণা সেনকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানালেন সুমন ঘোষ
পরমা - এ জার্নি উইথ অপর্ণা সেন ডকুমেন্টারিতে সুমন ঘোষ টুকে ধরল অপর্ণা সেনের জীবনের পথচলা। অভিনেত্রী থেকে চিত্রনাট্যকার হয়ে পরিচালক এবং এডিটর হয়ে ওঠার সফর এখানে। আর সেই তথ্যচিত্র নিয়েই এদিন সুমন ঘোষ মুখ খুললেন হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে।
হঠাৎ অপর্ণা সেনের জীবনের উপর ডকুমেন্টারি আনলেন কেন সুমন ঘোষ? এই বিষয়ে তিনি জানান, ‘চিত্রপরিচালক ছাড়াও আমি আনন্দবাজার, টেলিগ্রাফের জন্য লিখি মাঝে মধ্যেই। আজকাল খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদের যেভাবে ইন্টারভিউ নেওয়া হয় তাতে আমি রীতিমত বিরক্ত হই। আমি বছর তিনেক আগে অপর্ণা সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে ওঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। সেখানে ওঁর ছেলেবেলা থেকে চিদানন্দ দাশগুপ্ত, সিনেমা বানানোর সফর সব নিয়েই কথা হয়। সেই সাক্ষাৎকারে জন্য আমি নিজেকে রীতিমত তৈরি করেছিলাম কারণ ওঁর সঙ্গে আমি মূলত বন্ধু হিসেবে কথা বলেছি। সেই সময় রিসার্চ করতে গিয়ে ওঁর কাজের পরিধির ব্যাপারে আমার আন্দাজ হয়। খালি পরিচালক নয়, অভিনেত্রী, সানন্দা ম্যাগাজিনের এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।'
এদিন সুমন ঘোষ আরও জানান, 'আমার মনে হয়েছিল এই গোটা জিনিসটা তুলে ধরা খুব চাপের হবে। সেই সময় আমার মাথায় প্রথম ডকুমেন্টারি বানানোর কথা আসে। আর তাছাড়া আমাদের অভ্যাস আছে মানুষ বেঁচে থাকার বদলে তাঁদের মৃত্যুর পর মানুষকে উদযাপন করার।'
সুমন ঘোষ জানান যেখানে যেখানে অপর্ণা সেন তাঁর ছবি যেমন ৩৬ চৌরঙ্গী লেন, পারমিতার একদিনের শ্যুটিং করেছেন সেখানে সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। তখন নানা বিষয় উঠে আসে কথা বলতে বলতেই। এই জন্যই এই তথ্যচিত্রকে তিনি নাম দিয়েছেন এ জার্নি উইথ অপর্ণা সেন।
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, অপর্ণা সেন শিশু শিল্পী হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। তাঁকে প্রথম দেখা যায় সত্যজিৎ রায়ের তিন কন্যায়। এরপর মৃণাল সেনের আকাশ কুসুমে অভিনয় করেন তিনি। ধীরে ধীরে মূলধারার ছবিতেও জায়গা করে নেন অপর্ণা সেন। ১৯৪১ সালে ৩৬ চৌরঙ্গী লেন ছবিটি দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সেই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি। এরপর থেকে অপর্ণা সেনকে দর্শকরা কখনও ক্যামেরার পিছনে, কখনও ক্যামেরার সামনে দেখেছেন।