সোমবার রাতে গ্রেফতার হন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যদিও খুন এবং ধর্ষণের মামলায় সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হননি। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে। তবে তাতেও একটু হলেও শান্তি পেয়েছেন বাংলার মানুষ। যারা এতদিন ধরে বিচার চেয়ে গলা ফাটিয়েছিল।
ইতিমধ্যে সন্দীপ ঘোষোর গ্রেফতারি নিয়ে বিদীপ্তা, স্বস্তিকার মতো তারকারা স্পষ্ট করেছেন, এখনই থামলে চলবে না। বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ না তরুণী ডাক্তারকে পাশবিক যন্ত্রণা দিয়ে মেরে ফেলার পিছনে যারা ছিল, প্রত্যেকেই যায় কারাগারের পিছনে।
মুখ খুললেন অভিনেতা সৌরভ দাস। তাঁর গলায় শ্লেষ স্পষ্ট। বলতে শোনা গেল, ‘একটা ইঁদুর ধরা পড়েছে। আরও অনেক ইঁদুর বাকি আছে’। এই সময় সৌরভের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী দর্শনা বণিকও। যদিও তিনি মুখ খোলেননি এই নিয়ে। চুপই ছিলেন।
সোমবার রাতে বিদিপ্তা চক্রবর্তী টিভি নাইন বাংলাকে জানান, ‘এটা নিঃসন্দেহে ভালো খবর। কিন্তু এটা কোনও আইওয়াশ নয় তো? কারণ, জানতে পারলাম তাঁকে তিলোত্তমা ধর্ষণ মামলা নয় আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল তাঁর নাম তো প্রকাশ্যে এসেছে তিলোত্তমা ঘটনাকে কেন্দ্র করেই।' বিদিপ্তার মতে, আর জি করের নির্যাতিতার সঙ্গে ঘটা নৃশংস ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সন্দীপের নাম উঠে এসেছে। সেই কারণে সেই মামলাতেই সন্দীপের গ্রেফতারি দরকার।
নির্যাতিতার বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষের ফাঁসি হোক। আরও অনেকে জড়িত আছেন। আরও সামনে আসুক। আমার মেয়ে তো দুর্নীতিরই বলি হয়েছে। যা হয়েছে, ভালো হয়েছে। এখনও খুশি হওয়ার মতো সেরকম কিছু হয়নি।’
৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। হাসপাতালের ভিতরে দুর্নীতি চলত অবাধে বলে অভিযোগ, আর এতে সরাসরি জড়িত ছিলেন নাকি সন্দীপ। এমনকী, আরজি কর নির্যাতিতার শরীর উদ্ধার হওয়ার পরও, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আছে তার উপরে।
প্রসঙ্গত, সন্দীপের পর সোমবার রাতে আরও ৩জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বিপ্লব সিনহা, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকে ধরা হয়। সন্দীপের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সুমন। আর বিপ্লব এবং আফসার ছিলেন ভেন্ডর।