
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
উত্তপ্ত বাংলাদেশ, সেদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে। এমনকি বাংলাদেশের BUET বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার ভিডিয়ো দু'দিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল। আরও অনেক সেলেবের মতোই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। 'হিন্দু-মুসলিম' প্রসঙ্গ টেনে লিখেছিলেন তিনি। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় লগ্নজিতাকে। তীব্র কটাক্ষ, বিদ্রুপ ও হুমকির দেওয়া হয় গায়িকাকে। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন তিনি। তবে তারপরেও ট্রোলিং বা থ্রেট বন্ধ হয়নি। অগত্যা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা থেকে নিজের সমস্ত পোস্ট ডিলিট করে দিলেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী।
পোস্ট ডিলিটের কথা জানিয়ে লগ্নজিতা লেখেন, ‘আমার পরিবার (ব্যক্তিগত জীবন) এবং আমার ব্যান্ড (আমার পেশাগত জীবন) এর কাতর অনুরোধে, তাঁদের যাতে আর অসম্মান না হয়। আমি আমার সমস্ত পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হলাম। ট্রোলার, আপনারা জিতে গেলেন। আমি এখানে হেরে গেলাম। এবার আনন্দ করুন।’
লগ্নজিতার এই পোস্টের নিচে অবশ্য বহু নেটিজেন তাঁর সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘এটা হেরে যাওয়া নয়, কিছু অসভ্য মানুষের মুখের ওপর উপযুক্ত জবাব দেওয়া...’। আরও একজন লিখেছেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার আপনি ভীষণ ভালো মানুষ। আপনি প্রতিবাদ করেছেন এটাই অনেক উচ্চ ব্যাপার। এই প্রতিবাদ করার সৎ সাহস সবাইয়ের নেই। আর আপনার প্রতিবেদন মোছাও আরও একটা প্রতিবাদ। নিন্দুকেরা নিন্দা করতেই জানে। আপনি স্ব-সত্তা নিয়ে বাঁচুন। ভালো থাকুন। ভালো গান শুনতে চাই আরও।’
আরও একজন মন্তব্য করেন, ‘ঐ যে একটা কথা আছেনা, বোবার কোনো শত্রু নেই। এখন এমন একটা অস্বস্তিক সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি যে, কোনোও একজন সুস্থ চিন্তার সংবেদনশীল মানুষের নিজের পরিবারের সম্মান ও আত্মসম্মান রক্ষার্থে মৌন হয়ে থাকাই শ্রেয়।’। কেউ আবার কিছুই না বুঝে প্রশ্ন করেছেন, ‘কী পোস্ট ছিল কেউ বলবেন?’
আরও পড়ুন-'আদৃত ভালো অভিনেতা বটে, তবে মানুষ হিসাবে...'! মিত্তির বাড়ির নায়ককে নিয়ে কী বললেন পারিজাত?
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গে ধরে লগ্নজিতা ফেসবুকের পাতায় লিখেছিলেন, 'ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেক দিন, বছর, কাল আগেই। কোনও দিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। আমি বিশ্বাস করতাম, ভেবেছিলাম এই জিনিসগুলো অতীতে ঘটত।' গায়িকার এই মন্তব্যে একেবারেই সমর্থন করতে পারেননি বহু নেটিজেন। এরপরই বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় গায়িকাকে।
এরপর কটাক্ষের জবাবও দিয়েছিলেন লগ্নজিতা। লেখেন, 'অনেকে বলছেন যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করছে না বা করে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন। আমি নাকি কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না। আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত। আমার আরও শিক্ষিত হওয়া জরুরি। ইত্যাদি, ইত্যাদি। সে তো বুঝলাম। কিন্তু আমি তো হিন্দু মুসলিম যে ভাই ভাই সেটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামের থেকে শিখেছিলাম। ওঁরাও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাই।'
যদিও এই পোস্টের পরও তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে। নানা হুমকি দেওয়া হয়। অগত্য নিজের আগের সমস্ত পোস্ট ডিলিট করলেন গায়িকা।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports