শাহরুখ খানের ভক্ত সংখ্যা গোটা বিশ্বে অগুণতি। কাঁটা তারের ওপারেও বাদশাকে উন্মাদনার শেষ নেই। চার বছর পর গত ২৫শে জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’। সেই ছবি দেখতে ঢাকা থেকে কলকাতা ছুটে এসেছেন বহু শাহরুখ-ভক্ত। কারণ সে দেশের প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি ছবির মুক্তিতে দীর্ঘসময় প্রতিবন্ধকতা জারি রয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে তুমুল, সেই ছবি দেখাতে আগ্রহী হল মালিকরা। তবে দেশীর শিল্পের ক্ষতির আশঙ্কায় হিন্দি ছবির রিলিজ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই দু-ভাগে বিভক্ত সে দেশের চলচ্চিত্র মহল।
সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে টলিউডের ছবি মুক্তি পায়। অর্থাৎ ঢালিউডের একটি কলকাতায় রিলিজ করে বদলে সে দেশে মুক্তি পায় টলিপাড়ার ছবি। কিন্তু বলিউডের ছবি নিয়ে আইনি ঘেরাটোপ বেজায় জটিল। নীতিমালা সংক্রান্তগত জটিলতার জেরে হিন্দি ছবি মুক্তি পায় না সে দেশেে। দু-দিনে বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তির পথ অনেকটাই পরিষ্কার এর মাঝেই সোমবার গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন শাহরুখ খান।
গোটা বিশ্বে প্রায় ১০০০ কোটির ব্যবসা হাঁকানো এই ছবি শীঘ্রই মুক্তি পাবে বাংলাদেশে আশ্বাস দিলেন শাহরুখ। এদিন বিকালে টুইটারে এক বাংলাদেশি ভক্তের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন শাহরুখ খান। সোমবার ফের একবার টুইটারে #AskSRK সেশনের আয়োজন করেছিলেন শাহরুখ। সেখানে এক বাংলাদেশি ভক্ত প্রিয় তারকার উদ্দেশে লেখেন, ‘আপনাকে বাংলাদেশের মানুষ কতটা ভালোবাসেন, তা আপনি ধারণাও করতে পারবেন না। বিশেষ করে আমি অন্ধের মতো আপনাকে ভালোবাসি। আমি আপনাকে কতটা ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি, তা আপনাকে বলে বোঝাতে পারব না। কবে আপনাকে বাংলাদেশে দেখতে পাব?’ জবাবে শাহরুখ লেখেন, ‘আমি শুনছি বাংলাদেশে শীঘ্রই পাঠান মুক্তি পাবে’।

শ
বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই টুইট। বাংলাদেশে ‘পাঠান’-এর আমদানিকারক অনন্য মামুনের ‘অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট’। ২৩শে ফেব্রুয়ারি ‘পাঠান’-এর মুক্তির জল্পনা ছড়িয়ে পড়লে শনিবার অনন্য মানুন জানিয়েছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে আমি অনুমতি পাইনি’। রবিবার এই বিষয়ে চলচ্চিত্রের ১৯টি সংগঠন এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। রবিবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা আমদানির পক্ষে তিনি। মন্ত্রী আরও জানান, শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এই নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ছাড়পত্র পেলেই ‘পাঠান’ রমরমিয়ে চলবে বাংলাদেশের সিনেমা হলে।
রবিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০টি হিন্দি সিনেমা আমদানি করা যাবে। তবে বাংলাদেশে দুই ঈদ ও পুজোর উৎসবে প্রেক্ষাগৃহে চালানো যাবে না হিন্দি ছবি। সেন্সরের পাশাপাশি চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদের ছাড়পত্রও নিতে হবে মুক্তির আগে।