বিহারের ভূমিপুত্র তিনি। জন্মরাজ্য বিহারের প্রতি খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আমোঘ টান। এবার নিজের সেই শিকড়েই ফিরে গেলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। হ্য়াঁ, মুম্বই ছেড়ে এই মুহূর্তে বিহারেই রয়েছেন অভিনেতা।
নাহ, তবে তিনি পাকাপাকিভাবে মুম্বই ছেড়েছেন, অভিনয় ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণই নেই। বরং এবার অভিনয়ের হাত ধরে বিহারে ফিরলেন পঙ্কজ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন।
বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি গত ২২-২৩ বছর ধরে বড় এবং ছোট পর্দায় শক্তিশালী ভূমিকায় নানান চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলেছেন। কিন্তু এখন তিনি তাঁর নিজ রাজ্য বিহারে একটি ছবির শুটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। গোপালগঞ্জের বাসিন্দা পঙ্কজ ত্রিপাঠি, যিনি প্রথমবারের মতো বিহারে একটি ছবির শুটিং করছেন। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন।
কিন্তু কোন ছবির শ্যুটিং হচ্ছে বিহারে?
জানা যাচ্ছে, ছবিটির নাম এখনও ঠিক করা হয়নি। ছবিটি পরিচালনা করছেন 'ওহ মাই গড ২' খ্যাত অমিত রাই। মজার ব্যাপার হল, পঙ্কজ ত্রিপাঠী এবং অমিত রাই দুজনেই বিহারের বাসিন্দা, দুজনেই তাঁদের নিজ রাজ্যে একসঙ্গে শুটিং করছেন। বিহার ফিল্ম কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নির্মিত এই ছবিতে পবন মালহোত্রা, রাজেশ কুমার এবং বিহারের অনেক প্রতিভাবান শিল্পীকে দেখা যাবে। ছবিটির শুটিংয়ে বিহারের ৩৫ দিনের সময়সূচী রয়েছে।
আবেগপ্রবণ পঙ্কজ ত্রিপাঠী বলেন, 'এই মুহূর্তটি আমার কাছে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। একদিন পথনাটক এবং থিয়েটার দিয়ে বিহারের একটি গ্রামের ছোট্ট রাস্তায় যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমি কখনও ভাবিনি যে একদিন আমি একই রাস্তায় সিনেমার কর্মীদের সঙ্গে ফিরে আসব। সিনেমায় দুই দশকেরও বেশি সময় কাটানোর পর, এই প্রথম আমি আমার নিজের রাজ্যে কোনও ছবির শুটিং করছি। মনে হচ্ছে, জীবন পূর্ণ বৃত্তে ফিরে এসেছে। যখন কাজ শুরু হয়েছিল। তখন হিন্দি ছবির শুটিং বিহারে খুব কমই হয়। আমার মনে আছে বিহারে শ্যুট হওয়া শেষ ছবিটি ছিল ২০০৩ সালে মনোজ বাজপেয়ীর 'শূল'। এই অভিজ্ঞতাটি আমার জন্য খুবই বিশেষ এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছিল।'
পঙ্কজ ত্রিপাঠী আরও বলেন, ‘যখন গল্পটি আপনার মাটির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তখন এর একটা আলাদা জাদু থাকে। এখানে, প্রতিটি দৃশ্য, প্রতিটি অবস্থান, প্রতিটি মুখের সঙ্গে একটা গভীর সংযোগ রয়েছে। অমিত রাইয়ের সঙ্গে আবারও কাজ করা, যিনি কিনা নিজেই বিহারের বাসিন্দা, তাই প্রকল্পটিকে যেন আরও ব্যক্তিগত করে তুলেছে। আমাদের দুজনেরই এখানকার ভাষা, আবেগ এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর ধারণা রয়েছে এবং এটি অবশ্যই পর্দায় প্রতিফলিত হবে। এই ছবিটি শুধু প্রকল্প নয়, বরং আমার জন্য এটি সেই ভূমির প্রতি একটি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি যা আমাকে তৈরি করেছে।’