ভাঙা বিবাহিত জীবন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী নীলিমা আজিম। অভিনেত্রী প্রথমে পঙ্কজ কাপুরকে বিয়ে করেন। তাঁদের একমাত্র সন্তান অভিনেতা শাহিদ কাপুর। পঙ্কজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি রাজেশ খট্টরকে বিয়ে করেন। রাজেশ এবং নীলিমার ছেলে, অভিনেতা ইশান খট্টর।এক সাক্ষাৎকারে নীলিমা জানিয়েছেন, প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদ তাঁকে ভেঙে ফেলেছিল। সেখনে তিনি ভেবেছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ের পর হয়তো সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে। কিন্তু সেখানেও তাঁর ভুল ভাঙে। তবে দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদে নিজের প্রতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর। বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার এক দারুণ বন্ধুর সঙ্গে আমি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম। সবকিছু ঠিক লা-লা-লা-ডা-ডি-ডা-এর মতো চলছিল। আমার বাবা-মা ও খুব খুশি ছিল। আমার চারপাশে লোকজনে ভরা ছিল। কিন্তু আমি কখনো ভাবতেই পারিনি জীবনে এমন কিছুও হতে পারে, যাতে আমার পা পিছলে যায় এবং আমি ধপ কর পড়ে যাই। আর প্রত্যাখ্যানের কোনো কারণই ছিল না। কারণ আমার চারপাশের সকলে আমাকে খুব ভালবাসত এবং সমাদর করত। আমাকে ফলো করত। এটা ঠিক এমন সময়, যখন তোমার বয়স কম এবং সকলে তোমাকে ঘিরে রয়েছে। ঠিক সেই সময় প্রথম আমার অনুভব হয়েছিল দুঃখ, প্রত্যাখ্যান, উদ্বেগ, ব্যথা এবং ভয়, অজানা অনেক কিছু নিরাপত্তাহীনতা থেকে’। তিনি বলেছিলেন, তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকা এবং নিজেই একটি শিশু লালনের ধারণাটি আবদ্ধকর অনুভূতি হয়ে উঠেছিল। নীলিমার কথায়, ‘বলতে পারো এটা প্রথমবার ছিল যখন আমি মুখ থুবড়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আমি দেখতে পায়নি জীবনে আরো ভয়ঙ্কর কিছু হতে চলেছে। আমি সহজভাবেই মনে করি আমার এই ধাক্কাটির দরকার ছিল। আমাদের সকলকে বুঝতে হবে যে আমরা অসাধারণ বা অধিকারী নই, আমরা কেবল এমন মানুষ যা প্রত্যাখ্যান হতে পারি। নিজেকে গুছিয়ে উঠতে আমার দেড় বছর সময় লেগেছিল’।রাজেশের সঙ্গে বিয়ে সম্পর্কে বলতে গিয়ে নীলিমা জানিয়েছেন, ‘দ্বিতীয় বিয়েটা টিকে থাকত যদি এমন কিছু ঘটনা আচমকা না ঘটত.... সেটা ছিল কঠিন, অনেকটা অসম্ভবও বটে। আমি মনে করি এটা কাজ করত যদি না এত নিয়ন্ত্রণ এবং কিছু লজিকের ওপর নজর থাকত। তবে সেটা শেষ হয়ে যায়। এবং এটি বম্বেতে ঘটে থাকে, সমস্ত সংগ্রাম এবং সমস্ত চাপের সঙ্গে, কখনো কখনো মানুষ সম্পর্কের কাছে হেরে যায়। তবে আমার কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর এবং নতুন করে পথ চলার সুযোগ ছিল। কারণ আমার সঙ্গে আমার জীবনে দুই ছেলে রয়েছে (শাহিদ এবং ইশান)। তাঁরা আমার কাছে দুর্দান্ত অনুপ্রেরণা এবং আনন্দ এবং উৎসাহের কারণ’।প্রাক্তন স্বামী রাজেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন নীলিমা। তাঁর স্ত্রী বন্দনা সঞ্জীনীর সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে নীলিমার। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এখানে সমস্ত কৃতিত্ব বন্দনাকে দিতে চাই। কারণ বন্দনা একজন এমন ব্যক্তি যে সর্বদা আমাকে বোঝার চেষ্টা করেছে এবং আমি বলব যে সে আমাদের বন্ধুত্বের উদ্যোগ নিয়েছে। ও আমাকে অনেকে পরিবারের গুরুজন হিসেবে সম্মান করে। ও আমাকে সব সময় সম্মান করেছে, প্রশংসা করেছে এবং আমাকে সব কাজে উৎসাহ দিয়েছে। এই কারণ রাজেশের সঙ্গে এখনো সম্পর্ক বজায় রয়েছে’।