৯০ দশকে একটি বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের কথা আজ বারবার উঠে আসছে। ‘বাহ তাজ’, একটি চায়ের বিজ্ঞাপন ছিল সেটি। বিজ্ঞাপনে অনবদ্য মেলবন্ধন দেখা গিয়েছিল প্রয়াত তবলা বাদক জাকির হুসেন এবং একটি ছোট্ট ছেলের। সেই ছেলেটি হলেন আদিত্য কল্যাণপুর। প্রয়াত শিল্পীর মৃত্যুতে ঠিক কী বললেন আদিত্য?
আদিত্য কল্যাণপুর, মাত্র ৮ বছর বয়সে জাকির হুসেনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। গত রবিবার না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন প্রয়াত শিল্পী জাকির হুসেন। শিল্পীর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে সবার আগেই আদিত্যের মনে পড়ে যায় চায়ের সেই বিজ্ঞাপনের কথা।
আরও পড়ুন: বাবাকেই গুরু মানতেন, তবু কেন পারিবারিক পদবী বদলে ফেলেছিলেন জাকির হুসেন?
আরও পড়ুন: খোলা চুলে ঢেকেছে মুখ, কালো শাড়িতে 'জুন আন্টি' এবার 'মঞ্জুলিকা'! বড় চমক উষসীর
স্মৃতিচারণ করে আদিত্য বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না উনি নেই। তিনি আমার কাছে একজন সঙ্গীত শিল্পী থেকেও অনেক বেশি ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠান, একজন পথপ্রদর্শক। চায়ের বিজ্ঞাপনে যখন প্রথম ওঁর সঙ্গে স্টুডিওয় প্রবেশ করেছিলাম, তখন দেখেছিলাম কীভাবে তবলার চারিপাশে মাইক লাগানো হয়। কিভাবে গান রেকর্ড করা হয়। আমার স্মৃতিগুলির মধ্যে এগুলি অন্যতম। আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম কিন্তু তাও ওঁর উপস্থিতি যে কতটা আমার জন্য সৌভাগ্যের তা আমি বুঝতে পেরেছিলাম।’
আদিত্য আরও বলেন, ‘অন্যান্য শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পীদের থেকে তিনি অনেকটাই প্রগতিশীল ছিলেন। শাস্ত্রীয় সংগীত ছাড়াও তিনি পশ্চিমের সঙ্গীত এবং পপ মিউজিক শুনতে পছন্দ করতেন। দুর্দান্ত হাস্যরস জানতেন তিনি। প্রত্যেকের সঙ্গেই স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে পারফর্ম করতেন তিনি।’
আদিত্য বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কিছু মানুষ ভগবানের ঘর থেকে এই পৃথিবীতে আসেন। আমি যদি শচীন টেন্ডুলকারকে ক্রিকেটের ঈশ্বর বলে মনে করি, যদি অমিতাভ বচ্চনকে বলিউডের ঈশ্বর বলে মনে করি তাহলে আমি জাকির হুসেনকে বলতে পারি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ঈশ্বর।’
আরও পড়ুন: বিজয়ের তামিল ছবি 'থেরি'র রিমেক ‘বেবি জন’? কটাক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন বরুণ ধাওয়ান
তিনি আমায় শিখিয়েছেন মঞ্চের বাইরেও কীভাবে একজন নম্র উদার মানুষ হয়ে উঠতে হয়। তিনি আমাকে যা শিখিয়েছেন সারা জীবন আমি তা স্মরণ রাখব। আজ আমি যা, সবটাই ওঁর জন্য। শুধু তবলা বাজানো নয়, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমি ওঁর থেকে শিক্ষা পেয়েছি, বলেন আদিত্য।