পরনে প্রিন্টেড শার্ট, পান্না-সবুজ রঙের স্কার্ট আর ওই একই রঙের পা ছোঁয়া জ্যাকেটে। মাথার চুল পনিটেল করে বাঁধা আর সঙ্গে হালকা মেকআপ। ২১ এপ্রিল, সোমবার ঠিক এই লুকেই কলকাতায় হাজির হলেন করিশ্মা কাপুর। তাঁকে দেখে কে বলবে যে বয়স ৫০ ছুঁয়েছে! এই বয়সেও করিশ্মার লুকে মুগ্ধ হতে হয় বৈকি।
জানা যাচ্ছে, সোমবার মহিলাদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় যোগ দিতেই শহরে এসেছেন তিনি। এখানে তাঁকে ঘিরে ধরেন বহু অনুরাগী। অনেকের সঙ্গে অনুষ্ঠানে গিয়ে সেলফি তুলতেও দেখা যায় করিশ্মাকে। আবার কখনও ‘লে গয়ি’ গানের তালে মেলাতে দেখা যায় তাঁকে।
সোমবার ‘বিয়ন্ড দ্য স্ক্রিন উইথ করিশ্মা কাপুর’ শীর্ষক আলোচনাসভায় নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ নানান কথা, অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন কাপুর নন্দিনী করিশ্মা। অভিনেত্রী জানান, তাঁর দাদু (ঠাকুরদা) রাজ কাপুর, প্রপিতামহ পৃথ্বিরাজ কাপুর একটা সময় এই বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতির কেন্দ্র হল কলকাতা শহরেই থাকতেন। এখান থেকেই তাঁরা গিয়েছিলেন মুম্বই শহরে, নিজেদের ভাগ্যপরীক্ষা করতে। ফলে, কলকাতা তাঁকে এখনও টানে। সুযোগ পেলেই টুক করে চলে আসেন এই তিলোত্তমায়।
প্রসঙ্গত, অনেকেই হয়ত জানেন না, করিশ্মার প্রপিতামহ পৃথ্বিরাজ কাপুর একসময় কলকাতায় নিউ থিয়েটার্সের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর কলকাতা শহরেই শৈশব কেটেছে রাজ কাপুরের। ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করতেন রাজ কাপুর। তবে বেশিদিন কলকাতায় থাকা হয় নি। পরবর্তী সময়ে পরিবার নিয়ে মুম্বই পাড়ি দেন পৃথ্বিরাজ কাপুর।
করিশ্মার জন্ম ও বড় হওয়া সবটাই মুম্বই শহরে। রাজ কাপুরের বড় ছেলে অভিনেতা রণধীর কাপুর ও ববিতা শিবদাসানির বড় মেয়ে তিনি। বাবার দিক থেকে করিশ্মা হিন্দু পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত এবং মায়ের দিক থেকে সিন্ধি ও ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত। মাত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা করিশ্মা ফিল্মি কেরিয়ার ছিল দুর্দান্ত।
মুম্বইতে অভিনেত্রী হিসাবে সফল কেরিয়ার তাঁর। মাত্র ১৬ বছর বয়সে 'প্রেম কয়েদি' ছবির হাত ধরে কেরিয়ার শুরু করেন করিশ্মা। তাঁর বহুল চর্চিত ছবিগুলির মধ্যে ‘রাজা হিন্দুস্তানী’, ‘জিগর’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘বিবি নম্বর ওয়ান’, ছিল বক্স অফিসে সুপার হিট।