টিআরপি তালিকায় এখনও পর্যন্ত সেরার দৌড়ে নাম না লেখালেও শুরু থেকেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘কার কাছে কই মনের কথা’। মানালি দে-র এই কামব্যাক মেগা দর্শকমহলের বড় অংশের নজর কাড়তে সফল হয়েছে। শিমুলের শিক্ষক বরের ‘বেয়াদবি’তে আগেই চটেছে নেটিজেনরা। তার উপর শিমুলের শাশুড়ির অমানবিক ব্যবহার। স্বাবলম্বী নয় এমন এক মেয়ের জীবনে বিয়ের পর কী পরিমাণ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ জি বাংলার এই মেগা।
বিয়ে হতে না হতেই ভাঙনের মুখে শিমুল-পরাগের দাম্পত্য। শাশুড়ি মা-র বারণ সত্ত্বেও তাঁর ঘুমের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশি বিপাশার বাড়ি নেমন্তন্ন রক্ষা করতে চায় শিমুল। আর সেইদিনই পরাগ আর পলাশ সময়ের আগেই বাড়ি ফেরে, তাঁরা এসে দেখে দরজা তালাবন্ধ। ব্যাস, শুরু তুলকালাম। না বলে প্রতিবেশির বাড়ি যাওয়ায় নতুন বউমার উপর রেগে লাল পরাগের মা। পাড়ার সকলের সামনে শিমুলকে অপমান করেও শান্ত হয়নি তাঁর মন। বউমার বাপের বাড়িতে নালিশ ঠুকে তড়িঘড়ি ফোন যায় এবং লোকজনকে সেখানে ডেকে পাঠান পরাগের মা। শিমুলের মা-কে কটূক্তি করতে ছাড়েন না পরাগের মা। মেয়ের ‘ভুল’-এর কথা জানতে পেরে খানিক বীতশ্রদ্ধ হন শিমুলের মা, তবে মেয়ে বিরাট কোনও অপরাধ করেছে তা মানতে না-রাজ তিনি।
বাপের বাড়ির লোকজনের সামনেই শিমুলকে চরম অপমান করে পরাগ, কিছুদিনের জন্য বাপের বাড়ি গিয়ে নিজের অবস্থান বুঝে নিতে বলে। কিন্তু নাছোড়বান্দা শিমুল, মা-কে সে জানায় কোনওমতেই এই বাড়ি ছেড়ে যাবে না। কারণ এই বাড়িতে তারও অধিকার রয়েছে। এরপরই শিমুল দৃঢ় কন্ঠে জানায় প্রত্যেক মেয়েরই উচিত নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া। বরকে সচেতন করে সে জানায়, প্রয়োজনে শিমুলকে খোরপোষ দিতে হবে পরাগকে। বউয়ের কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় পরাগ। কিন্তু জানায়, ‘শুধুমাত্র খোরপোষের কথা উঠছে তো, তাহলে আমি সকলের সামনে বলছি আমি ডিভোর্স দেব’। এরপর শিমুল বুঝিয়ে দেয় তাঁদের সংসারে এসে কোনও মেয়ের পক্ষেই মানিয়ে-গুছিয়ে থাকা সম্ভব নয়। পলাশের মুখেও ঝামা ঘষে দেয় শিমুল।
তবুও মনে গলেনি পরাগের মায়ের। শেষ পর্যন্ত তাঁর নিদান নাকক্ষর দিতে হবে শিমুলকে। শেষ পর্যন্ত তাঁর নির্দেশ মেনে নেয় শিমুল, ছোট বৌদি এবং পুতুলের বারবার বারণ সত্ত্বেও শিমুল নাকক্ষর দিতে এগিয়ে যায়। পরে অবশ্য পরাগের মা নিজেই তাঁকে আটকায়। সঙ্গে জানায়, আগামিতে এই ভুল ফের করে থাকলে ছোট ছেলেকে নিয়ে একা দোতলায় থাকবেন তিনি। মায়ের সুরে সুর মিলিয়ে পরাগ জানায়, শিমুল নিজেকে না বদলালে আগামিতে কিছুদিনের জন্য নয়, পাকাপাকিভাবে শিমুলকে বাপের বাড়ি পাঠাবে সে। কারণ শিমুলের সঙ্গে সংসার করা সম্ভব নয়। দাম্পত্য জীবন শুরুর আগেই টালমাটাল পরাগ-শিমুলের দাম্পত্য, আগামিতে কোন বাঁক নেবে এই জুটির সম্পর্ক, সেটাই দেখবার।