সম্প্রতি জনি লিভারের মেয়ে জেমি লিভার জানিয়েছেন একটা সময় তাঁকে বডি সেমিংয়ের শিকার হতে হত। এই সব শুনতে শুনতেই তিনি বড় হয়েছেন, কারণ ছোটবেলায় তিনি বেশ স্বাস্থ্যবতী ছিলেন। হাউটারফ্লাইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, জেমি জানিয়েছেন একসময় তাঁকে গায়ের রঙ নিয়েও নানা মন্তব্য শুনতে হত। এমনকী তাঁকে ‘ডাইনি’ বলা হত।
জেমি তাঁর ত্বকের রঙের জন্য নানা সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি অনেক মন্তব্য পাই। কালো, ডাইনির মতো দেখতে, ডাইনির মতো হাসে, তুমি কুৎসিত, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাবে না, তুমি কেন মরে যাও না, তোমার চেহারা জন্য তুমি কাজ পাচ্ছো না… এরকম দেখতে মেয়েরা সিনেমায় আসে না। আমি সারা জীবন এই ধরণের কথা শুনে এসেছি। গায়ের রং এখানে একটা বড় সমস্যা। ছোটবেলায়, মানুষ আমাকে 'ফর্সা' হওয়ার জন্য উবটান, হলুদের মাস্ক এই সবই ব্যবহার করতে বলত... আমাদের দেশে বর্ণ বিভেদ একটা বড় সমস্যা।'
আরও পড়ুন: অমিতাভের জন্যই 'মৃগয়া'য় কাজ করতে পেরেছিলেন মিঠুন? জানেন সেই গল্প? জেনে নিন
জেমি জানান, ছোটবেলায় তাঁর শরীর নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা ছিল কারণ তিনি সেই সময় স্বাস্থ্যবতী ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন আমি লম্বা কুর্তা দিয়ে আমার শরীর ঢেকে রাখতাম। এমনকি আমার পরিবারও আমাকে আমার কোমরের পেছনের অংশ ঢেকে রাখতে বলত, কারণ আমার নিতম্ব বড় ছিল। আমার শরীর নাকি ন্যাসপাতি আকৃতির, এক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি? আমাকে আমার শরীর নিয়ে অনেক কিছু করতে বলা হয়েছিল, তাই আমি নিজেকে পছন্দ করতাম না। আমার শরীর আমার জন্য লজ্জাজনক ছিল এবং জীবনের অনেক পরে আমি আমার শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শিখেছি।’
তিনি জানান যে, তাঁর মা তাঁকে ওজন কমাতে উৎসাহিত দিতেন, কারণ ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েদের একটি নির্দিষ্ট চেহারা ধরে রাখতে হয়। এরপর, তিনি তাঁর শরীরের উপর কাজ শুরু করেন এবং তাঁর মতো অন্যান্য মেয়েদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওয়ার্কআউটের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন।
আরও পড়ুন: এবার বলিউডে বনি সেনগুপ্ত! কী চমক দিলেন অভিনেতা? তাঁর বিপরীতেই বা থাকছেন কে?
২০১৩ সালে সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের ‘কমেডি সার্কাস কে মহাবলি’ শোতে একজন কৌতুকাভিনেতা হিসেবে জেমি তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ২০১৫ সালে, তিনি কপিল শর্মার ছবি ‘কিস কিসকো প্যার করুণ’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি ‘হাউসফুল ৪’, ‘ভূত পুলিশ’, ‘যাত্রী’ এবং ‘ক্র্যাক’-এর মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। তাঁকে সর্বশেষ তেলুগু ছবি ‘আ ওক্কাটি আড়াক্কু’ তে দেখা গিয়েছিল। এর পাশাপাশি, জেমি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মিমিক্রি ভিডিয়োর জন্যও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।