দীর্ঘদিনের সমস্ত ভুল-বোঝাবুঝি কাটিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে করা সমস্ত মামলা তুলে ফেলেছেন গীতিকার জাভেদ আখতার এবং অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সব সমস্যা মিটে গেলেও গীতিকার বলেন, আগামী দিনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে। কেন এমন কথা বললেন তিনি?
কঙ্কনার সঙ্গে সমস্ত সমস্যা মিটে যাওয়ার পর আজতককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাভেদ বলেছেন, ‘এটা ঠিক আমাদের মধ্যে সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে বলা সমস্ত কথা, সমস্ত অভিযোগ ফিরিয়ে নিয়েছেন কঙ্গনা, তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। আমার এতদিনে যা যা অসুবিধা হয়েছে তার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ‘AI বিদ্যা ভয়ঙ্করী’! ছড়িয়েছে নকল ভিডিয়ো, সাবধান করলেন খোদ অভিনেত্রী
ফারহানের বাবা জানান, ‘এই মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমি কোনও টাকা চাইনি কোনও দিন, শুধু ক্ষমা চেয়েছিলাম যা পেয়েছি।’ কঙ্কনার মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় কতটা মানসিক শান্তিতে আছেন জাভেদ জিজ্ঞাসা করায় তিনি রসিকতার সুরে বলেছেন, ‘দেখি ভবিষ্যতে আবার কোন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া যায়। কোনও নতুন সমস্যায় পড়তে পারি কি না দেখা যাক।’
কঙ্কনা এবং জাভেদের সমস্যার সূত্রপাত
২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঠিক পর পর একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কঙ্কনা বলেছিলেন, জাভেদ আখতার নাকি হৃতিক রোশনের থেকে ক্ষমা চাইতে বলেন তাঁকে। ২০১৬ সালে হৃতিকের বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগের জন্য যেন জনসমক্ষে কঙ্গনা ক্ষমা চেয়ে নেন, এমনটাই নাকি বলেছিলেন জাভেদ আখতার।
কঙ্গনা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একবার জাভেদ জি আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে বলেন ‘রাকেশ রোশন আমার পরিবারের একজন সদস্যের মতো। আমি যদি তাদের থেকে ক্ষমা না চাই, তাহলে ভালো হবে না। তারা আমাকে জেলে ঢোকাবে এবং আমার কেরিয়ার শেষ করে দেবে। আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: মরেনি অনির্বাণ, ফিরল বেঁচে, এদিকে গর্ভবতী রাই! সোমবার থেকে নতুন সময়ে মিঠিঝোরা, কখন দেখবেন?
জাভেদ আখতারের নামে এই অভিযোগ আনার পর কঙ্কনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন গীতিকার। দীর্ঘ পাঁচ বছর এই মামলা চলার পর অবশেষে মামলার নিষ্পত্তি হয়। জাভেদ জির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন কঙ্গনা, অন্যদিকে গীতিকারও কথা দেন কঙ্কনার সঙ্গে কাজ করার।
প্রসঙ্গত, মামলা নিষ্পত্তি করার সময় একটি বিবৃতি জারি করে কঙ্গনা বলেন, ২০২০ সালের জুলাই মাসে একটি সাক্ষাৎকারে আমার একটি মন্তব্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আমি যা বলেছিলাম তা নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি, ভবিষ্যতে যাতে এই ব্যাপারটির পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার অঙ্গীকার করছি আমি।