যে রাঁধে সে তো চুলও বাঁধে। সেকথাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মহকুমা শাসক নেহা। প্রশাসনিক কাজ, ঝুট-ঝামেলা সামলান বলে কি আর শিল্পী হতে পারেন না! IAS- অফিসার নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভুল ভাঙলেন। পেশায় তিনি বাঁকুড়ার খাতড়ার মহকুমা শাসক, আর শখে শিল্পী। বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ বিষ্ণুপুর মেলায় মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শুনে মুগ্ধ সকলে। বুঝিয়ে দিলেন তিনি সামান্যা নন, যথেষ্ঠ গুনী শিল্পী।
বাঁকুড়া জেলার দক্ষ এবং ব্যস্ততম প্রশাসক হিসাবেই পরিচিত নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনিই আবার ভীষণ গুনী সঙ্গীতশিল্পীও বটে। হাজারও ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত রেওয়াজটাও যে এখনও চালিয়ে যান, তা বুঝিয়ে দিলেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার তাঁর গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন খাতড়া শহরের বাসিন্দারা। আর এবার সেই সুযোগ হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরবাসীরও।
দিনটা ছিল ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার। ঠিক বড়দিনের আগের দিন। ওইদিনই বিষ্ণপুর মেলায় যদুভট্ট মঞ্চে মাইক্রোফোন হাতে সুরের ঝড় তুললেন IAS নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। দর্শকাসনে তখন কয়েক হাজার দর্শক। শ্রেয়া ঘোষালের গাওয়া দুটি হিন্দি জনপ্রিয় গান এবং আরও একটা জনপ্রিয় বাংলা গান 'পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে…' গানটি গাইতে শোনা গেল নেহাকে। গান শেষ হতেই হাততালিতে ফেটে পড়লেন সকলে। ব্যতিক্রমী এই সংস্কৃতিমনস্ক মহকুমা শাসককে পেয়ে খুশি সকলেই। নেহার হাত ধরেই খাতড়া সংস্কৃতির চর্চায় এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন দর্শক, শ্রোতারা।
আরও পড়ুন-৪ দিনেই ২৫০ কোটি পার করল প্রভাসের 'সালার', ৫ দিনে কোথায় দাঁড়িয়ে শাহরুখের ‘ডাঙ্কি’?
আরও পড়ুন-ক্রিসমাসের সকালে খেয়েছেন বিরিয়ানি, তবে বিকেলে ‘দেবদা’র পার্টিতে সৌমিতৃষা
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি বাঁকুড়ার খাতড়ার মহকুমা শাসক হলেও তাঁর জন্ম ও পড়াশোনা কলকাতায়। ছোটথেকেই তিনি গান শিখেছেন। যদিও দশম শ্রেণির পর সেটা আর হয়নি। তবে তিনি কলেজে পড়ার সময়ও গান গাইতেন। আবার মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীনও বেশকিছু স্টেজ প্রোগ্রাম করেছেন। আর চাকরি পেয়ে বাঁকুড়াতে যাওয়ার পর থেকে বেশকিছু অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানান নেহা।
নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, সরকারি আধিকারিক না হলে তিনি সঙ্গীতকেই পেশা হিসাবে বেছে নিতেন। তবে সরকারি, প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেও তিনি তৃপ্ত বলে জানান নেহাক্রিসমাসের সকালে খেয়েছেন বিরিয়ানি, তবে বিকেলে ‘দেবদা’র পার্টিতে সৌমিতৃষা।