হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্ট্যানকোভিচের বিচ্ছেদ জল্পনা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। সূত্র বলছে, বিয়ের চার বছর যেতে না যেতেই পান্ডিয়া দম্পতির সুখের নীড় ভেঙে চৌচির। ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকছেন নাতাশা। সদ্য বিদেশি বন্ধুর সঙ্গে ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া গিয়েছে তাঁকে, এড়িয়েছেন ডিভোর্স প্রসঙ্গ। আবার একদল বলছেন পুরোটাই নাটক। আরও পড়ুন-বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা! ডিভোর্স হলে হার্দিকের ৭০% সম্পত্তির মালিক তিনি! নাতাশা লিখলেন, ‘কেউ রাস্তায়..'
নাতাশার সঙ্গে ভালোবাসার বিয়ে হার্দিকের। ২০২০ সালের একদম শুরুতে নিজেদের সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিয়েছিলেন যুগল। দুবাইয়ের নীল জলে ভেসে নাতাশার হাতে আংটি পরিয়ে বাগদান সেরেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটার। জানা যায়, ২০১৮ সাল থেকে সম্পর্কে ছিলেন দুজনে। এনগেজমেন্টের মাস খানেকের মধ্যেই নাতাশার প্রেগন্যান্সি জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। ওই বছর ৩১ মে গোপনে বিয়ে করেন তাঁরা এবং নাতাশা মা হতে চলার সুখবরও ভাগ করে নেন। এর ঠিক দু-মাস পর অর্থাৎ ৩০ জুলাই অগস্ত্যর জন্ম দেন নাতাশা। অর্থাৎ হিসাব বলেছে বাগদানের সময়ই প্রেগন্যান্ট ছিলেন হার্দিক পত্নী। কিন্তু জানেননি অগস্ত্যর জন্মের প্রায় দু-বছর পর শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে প্রথম দেখা হয় হার্দিকের।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে বেড়ে ওঠা যে কারুর পক্ষে এই বিষয়টা হজম করা একটু মুশকিলজনক। করোনা-পরবর্তী সময়ে ছেলে ও স্বামীর সঙ্গে সান্তোরিনি (গ্রিস) গিয়েছিলেন নাতাশা, সেখানেই প্রথমবার নাতাশার পরিবারের সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ হয় হার্দিকের। সার্বিয়ান মডেল-অভিনেত্রী নাতাশার পরিবার সেখানেই থাকে। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে প্রথম দেখার মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরেছিলেন হার্দিক। লিখেছেন, এতদিন শুধু ফোনে আর ভিডিয়ো কলেই তাঁদের সঙ্গে আলাপ, তবে এই প্রথমবার সাক্ষাৎ করে তিনি আপ্লুত।