জেনেলিয়া দেশমুখের সর্বশেষ ছবি 'সিতারে জমিন পর' শুধু বক্স অফিসে নয়, মানুষের মনও জয় করেছে তার গল্প দিয়ে। তবে অভিনেত্রীর জন্য এই ছবিটি একটু বেশিই বিশেষ ছিল কারণ তিনি ১৩ বছর পর এটির মাধ্যমে হিন্দি ছবিতে কামব্যাক করলেন। তাঁকে সর্বশেষ তেরে নাল লাভ হো গয়া ছবিতে দেখা গিয়েছিল, যার পরে তিনি ইটস মাই লাইফ এবং মিস্টার মমির মতো ওটিটি ছবিগুলি পরিচালনা করেছিলেন।
জেনেলিয়া জানিয়েছেন, ‘গত দশ বছরে খুব বেশি কাজ করিনি, হয়তো বন্ধুদের জন্য, এখানে-ওখানে একটা আধটা গানে কাজ করেছি। ওটিটির জন্য দু-তিনটে ছবি করেছি। আমি ভেবেছিলাম মানুষ আমাকে ভুলে যাবে এবং আমি মনে করি না যে আমি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটা শুনতে ভালো লাগছে যে লোকেরা প্রশংসা করছেন, তারা আমায় আরও দেখতে চান বলছেন। এটি আমির খানের ছবি, তাই অবশ্যই এটির দিকে বেশি নজর থাকতই। আমি ভাবিনি যে এই টেকওয়েতে কোথাও আমারও অস্তিত্ব রয়েছে। এটা সেরা প্রশংসা, যে মানুষ আমাকে আরও দেখতে চায়। একজন অভিনেতা এবং মানুষ হিসাবে, যদি কেউ আপনাকে আরও অনেক কিছুতে দেখতে চায় তবে এটি একটি খুব বিশেষ জায়গা, যা সবাই পায় না’।
এই ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেতা আমির খানই তাঁকে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন, এই বিষয়ে নায়িকা বলেন, ‘উনি রীতেশের সাথে কোথাও দেখা করেছিলেন, এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন জেনেলিয়া কি আজকাল কাজ করছে? উত্তরে রীতেশ বলেছিলেন হ্যাঁ ও কাজ করছে। এরপর আমির আমাকে পরিচালক আর এস প্রসন্নর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। আমি চরিত্রটির জন্য অডিশন দিয়েছিলাম এবং তা পেয়েছিলাম। আমি জানি বেশির ভাগ অভিনেতারই মনে হবে, ২০ বছর পর অডিশন কেন? তবে আমি মনে করি এটি একটি চলচ্চিত্র পাওয়ার দুর্দান্ত উপায় তাই আমি এটি করতে পেরে খুব উত্তেজিত।’
সিতারে জমিন পর ছবিতে একদল বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যাঁদের আমির অভিনীত একজন অহংকারী কোচ দ্বারা একটি বাস্কেটবল টুর্নামেন্টের জন্য ট্রেনিং দেওয়া হয়। জেনেলিয়া আমিরের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
ছবিটির সাফল্যের পর জেনেলিয়া তাঁর পরবর্তী চলচ্চিত্রটি সবেমাত্র ঘোষণা করেছেন সেখানে তাঁকে ইমরান হাশমির বিপরীতে দেখা যাবে, এই বিষয়ে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি মনে করি, ভালো সিনেমা বানাতে পারলে দর্শক ঠিকই দেখে। আমি খুশি যে ছবিটি যা আয় করেছে তা বেশ ভালো, বিশেষ করে সিতারেদের জন্য। আমি সত্যিই চেয়েছিলাম যে এটি তাদের জন্য একটি ব্লকবাস্টার হোক, এবং আমি আনন্দিত যে এটি সেটা পেরেছে।’