২০২৫ সালে পয়লা জানুয়ারির দিন সকলকে একেবারে চমকে দিয়ে নিজের বিয়ের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনেন অনুরাগের ছোঁয়া-খ্যাত অভিনেত্রী মিশকা দত্ত। সঙ্গে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগেই অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছিলেন। তখন তিনি মাত্র ২০ বছরের। যদিও তা লুকিয়ে রেখেছিলেন সকলের থেকে। প্রথম ধারাবাহিকে কাজ করার সময়তেই নিজের মনের মানুষকে খুঁজে পান অহনা। তিন হলেন দীপঙ্কর রায়। তবে ডিভোর্সি ছেলের সঙ্গে মেনে নিতে পারেননি অহনার মা।
একসঙ্গে জি বাংলার নাচের রিয়েলিটি শো ডান্স বাংলা ডান্সে পারফর্ম করেছিলেন অহনা ও তাঁর মা চাঁদনী। সেই থেকেই মা ও মেয়ে, দুজনেই দর্শকের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে আসছেন। সেই মঞ্চেই জানা গিয়েছিল, একপ্রকার অহনাকে একাই মানুষ করেছেন ডিভোর্সি চাঁদনী। স্বামীর সংসারের থেকে বেরিয়ে বাবা-মায়ের কাছে গিয়েই থাকা শুরু করেছিলেন মেয়েকে নিয়ে। সেই সময় থেকেই অহনাই ছিল তাঁর ধন্যাজ্ঞান। তবে মা-মেয়ের সম্পর্কে ছেদ পড়ে, দীপঙ্কর আসার পর।
আরও পড়ুন: ‘এত নেগেটিভিটি…’, কেন দীপঙ্করকে বিয়ের খবর ১ বছর লুকোলেন অহনা! মাকে জানিয়েছিলেন, জবাব ‘মিশকা’র
একমাত্র মেয়ের বিয়ের ভিডিয়ো দেখে কি তাহলে মায়ের মন গলল। জানতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল চাঁদনীর সঙ্গে। অহনার বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করতেই জবাব এল, ‘এই ব্যাপারে কথা বলতে একেবারেই চাই না আমি। অন্য কোনো বিষয় থাকলে অবশ্যই কথা বলব। এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
তবে অহনা এই বিয়েতে নিজের পরিবারকে পাশে না পেলেও, ছিলেন দীপঙ্করের মা ও বাবা। ভিডিয়োতে বেশ হাসিখুশিই দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীর শাশুড়িকে, যিনি ২০২৩ সালে প্রয়াত হন।
এদিকে বিয়ের ১ বছর ধরে গোপন রাখা নিয়ে অহনা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জবাব দেন, ‘২০২৩ সালে এত নেগেটিভিটি ছিল। আমাদের মনে হয়েছিল সেটা সঠিক সময় নয় সকলকে জানানোর। এখন মানুষ অনেকটাই বুঝেছে আমাকে আর দীপঙ্করকে। বুঝেছে আমাদের ভালোবাসা খাঁটি। আর আমরা যখন থেকে টালিগঞ্জে ভাড়ার ফ্ল্যাটে লিভ ইনশুরু করি, তখন থেকেই জানতাম এটা কোনো ছেলেখেলা হচ্ছে না। আমরা একে-অপরকে ভীষণ ভালোবাসি।’
আরও পড়ুন: মায়ের অমতে ডিভোর্সি দীপঙ্করের কপালে সাম্যের সিঁদুর ছুঁইয়ে গোপন বিয়ে! নতুন বছরে সুখবর দিলেন অহনা
অপর এক সংবাদমধ্যমকে তিনি মায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জানান, বিয়ের খবর তিনি দিদিমাকে জানিয়েছিলেন। মা-র কী মত সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তাঁর। আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যায়, চাঁদনীর জীবনের অনেকটা জুড়ে তাঁর বন্ধুরা। অহনার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর, যখন ভেঙে পড়েছিলেন মানসিকভাবে, তখন বন্ধুরাই শক্তভাবে ধরে হাত। এছাড়াও অনেকটা সময় পষ্যদের সঙ্গে কাটান চাঁদনী।