প্রেম করছেন দিতিপ্রিয়া রায়, নিজের সম্পর্কে এই বছরের রঙের উৎসবের পরপরই প্রেমে সিলমোহর দিয়েছেন রানিমা। তবে প্রেমিকের পরিচয় গোপন রেখেছেন। আদর করে দিতিপ্রিয়ার মা রিভুবাবু বলে ডাকেন হবু জামাইকে। আর তিনি ইন্ডাস্ট্রির মানুষ নন, এমনকী কলকাতাতেও থাকেন না। আরও পড়ুন-চুটিয়ে প্রেম করছেন দিতিপ্রিয়া! HT Bangla-য় প্রথমবার মুখ খুললেন ‘রানি রাসমনি’, মনের মানুষটি কে?
প্রেমিককে নিয়ে এইটুকু তথ্যই সামনে এনেছেন দিতিপ্রিয়া। প্রেমিক কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত সেটাও ফাঁস করতে চান না দিতিপ্রিয়া। তাঁদের প্রেম এতটাই গভীর যে দিতিপ্রিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিয়ে করলে একমাত্র রিভুকেই করবেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রানিমা জানালেন কেন রিভুর প্রেমে পড়ছেন তিনি।
মন খারাপ হলে গঙ্গারঘাটে গিয়ে বসে থাকেন দিতিপ্রিয়া। আর এখন কলকাতায় থাকলে দিতিপ্রিয়ার এই মন খারাপে সঙ্গ দিতে গঙ্গার ঘাটে তাঁর পাশে থাকেন রিভু। কিছুদিন আগে গঙ্গবিহারের ফাঁকে তোলা নিজেদের একটি ছবিও পোস্ট করেছিলেন নায়িকা। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘সে তো এখানে থাকে না। তাই তাঁকে সবসময় গঙ্গারঘাটে পাওয়া যায় না। তবে আমি ওকে ভোর পাঁচটার সময় টান মেরে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে গিয়েছে। (হাসি)’
দিতিপ্রিয়া আরও জানান, তাঁর প্রেমিক এক্কেবারে তাঁরই মতো। ভিড়ভাট্টা, লোকজন পছন্দ নয়। শুধুমাত্র চেনা মানুষদের সঙ্গেই একান্ত সময় কাটাতে ভালোবাসেন দিতিপ্রিয়ার প্রেমিক। এই মিলই নাকি কাছাকাছি এনেছে তাঁদের। রিভুকে বিয়ে করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তবে এখন বয়স কম, তাই এখনই সেই পথে হাঁটবেন।
এর আগে নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানিয়েছিলেন, ‘এটা আমার প্রথম প্রেম নয়। এর আগেও আমার জীবনে প্রেম এসেছিল। তবে সেটা থাকেনি। সেটা হয়ত, একপক্ষ ছিল বা কোনওভাবে হয়নি। তবে সেটাও যে বাচ্চা বাচ্চা প্রেম ছিল, এমনটাও নয়। সেটাও সিরিয়াস ছিল। তবে হ্য়াঁ, আমি চিরকালই মনে করি, যে কমিটমেন্টটা রাখতে পারব, সেটাতেই এগোব।’
প্রেম ভাঙায় তীব্র যন্ত্রণা পেয়েছিলেন। মিউচুয়ালিই সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে এসেছেন। যখন বুঝেছেন অপর তরফে কোনও ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট নেই। তাঁর কথায়, ‘এক্ষেত্রে কেউ তো কাউকে বলে না, যে বের হয়ে যাও, তাঁর ব্যবহারে বুঝে নিতে হয়।’ রিভুর আগে দিতিপ্রিয়ার জীবনে যে মানুষটি ছিলেন, তিনি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের লোক। একবার প্রেমে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার আর টলিপাড়ার কাউকে মনে ধরল না দিতিপ্রিয়ার।