কয়েকমাস আগের ঘটনা, কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের রিসেপশন ঘিরে তীব্র বিতর্কের দানা বেঁধেছিল। কারণটা এতদিনে কমবেশি সকলেরই জানা। অনুষ্ঠানের বাইরে তারকা দম্পতি বড় বড় করে লিখে রেখেছিলেন, 'প্লিজ! প্রেস অ্যান্ড পার্সোনাল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ড্রাইভার্স আর নট অ্যালাওড।' আর তাতেই বেজায় বিরক্ত ছিল বাংলার সংবাদ মাধ্যম। ছবিতে সেসব এখন অতীত, পরে কাঞ্চন-শ্রীময়ী বিষয়টা নিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন।
ভাবছেন তো এসব কথা হঠাৎ এতদিন পর কেন উঠছে!
অনেকেই হয়ত জানেন না খানিকটা একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল অমিতাভ পুত্র অভিষেক বচ্চন-ঐশ্বর্য রাই-এর বিয়েতে। সেখানেও সাংবাদিকদের হেনস্থা হতে হয়েছিল। যেকারণে দীর্ঘদিন বচ্চন পরিবারের উপর 'নিষেধাজ্ঞা' (Media Ban) জারি করেছিল দেশের সংবাদমাধ্যম। সম্প্রতি সেবিষয়টিই সামনে এনেছেন পাপারাৎজি বীরেন্দর চাওলা।
সালটা ছিল ২০০৭ সাল। সেবছর অভিষেক-ঐশ্বর্য বিয়ের মতো অনুষ্ঠানও ব্য়ক্তিগত রাখতেই চেয়েছিল বচ্চন পরিবার। তবে তারপরেও বচ্চন বাড়ির বাইরে উপস্থিত ছিল সংবাদমাধ্যম। সেবার বচ্চন পরিবারের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ অমর সিং-এর নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে সংবাদিকদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। আর তারপরই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যম। পুরনো সেই ঘটনা প্রসঙ্গে কী বলেছেন বীরেন্দ্র চাওলা?
আরও পড়ুন-মোদীর শপথে হাজির শাহরুখ, দেখেই জড়িয়ে ধরলেন আক্কি, ডাক পাননি সলমন, আমির?
তিনি বলেন, ‘বিয়ের সময় আমি তখন বচ্চন বাড়ির বাইরে ছিলাম। ঠিক কোথায় দাঁড়ালে ছবি পাওয়া যায়, সেটা আমার জানা ছিল। তবে বচ্চনরা সেখানে একটা বাস দাঁড় করিয়ে দেয়। সুতরাং, সংবাদমাধ্যম ছবি তুলতে পারেনি।। যখন বচ্চনরা একটা বাংলো থেকে অপর বাংলোর দিকে যাচ্ছিল, তখন অমর সিংয়ের নিরাপত্তা দল সংবাদমাধ্যমের উপর খুব আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এক ঝলক ছবি তুলতে গিয়ে ঠেলাঠেলিতে সেখানে মিডিয়া ব্যারিকেড ভেঙ্গে যায়। এরপরই নিরাপত্তাকর্মীরা সংবাদমাধ্যমের উপর হামলা চালায়। অনেক সাংবাদিক আহত হন। এরপরই বচ্চন পরিবারের কোনও খবর ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।’
বীরেন্দর চাওলা বলেন, ‘এর আগে এতবড় নিষেধাজ্ঞা কখনওই দেখিনি। অমিতাভ, জয়া, অভিষের, ঐশ্বর্য সবাইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা এতটাই কড়া ছিল যে বচ্চন পরিবারের কেউ কোনও অনুষ্ঠানে গেলে তাঁদের বাদ দিয়ে বাকিদের ছবি তোলা হল। বচ্চনরা গেলে ক্য়ামেরা নামিয়ে রাখা হত। গ্রুপ ফটোর জন্য বচ্চনদের কাউকে ডাকা হলেও তাঁদের বাদ দিয়ে পাশের ব্যক্তির ছবি তোলা হত।’
বীরেন্দর চাওলা জানান, ‘বিষয়টা যে হতাশাজন সেটা বুঝতে পেরে এক পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন অমিতাভ বচ্চন।’ তারপরই উঠেছিল সেই নিষেধাজ্ঞা।