সিনেমা হল প্রায় সাত মাস তালাবন্ধ থাকবার পর গত ১৫ অক্টোবর থেকে খুলে গেলেও করোনার আবহে ব্যাপক ক্ষতির মুখে হল মালিকরা। কারণ সরকারি নিয়ম মেনে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি আসনের টিকিট বিক্রি করা যাবে না। সমাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতেই এই উদ্যোগ। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল রাজ্যের সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটারের মালিকরা। তাঁদের কাতর আর্জি সিনেমা হলে ১০০% আসন ক্ষমতার অনুমোদন দিক রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লেখা এই চিঠিতে তাঁরা লিখেছে, ৫০ শতাংশের বেশি দর্শক আসন না ভরানোর নিময় জারি থাকায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। ইম্পার প্রেসিডেন্ট পিয়া সেনগুপ্ত জানান, ‘এখনও পর্যন্ত এমন কোনও রিপোর্ট সামনে আসেনি যেখানে বলা হয়েছে সিনেমা হল খোলবার পর থেকে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে’। তিনি যোগ করেন, এই ৫০ শতাংশের খাঁড়া মাথায় ঝোলবার কারণেই কোনও হিন্দি বা বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই ৫০ শতাংশ নিয়মের উলটো পথে হেঁটে গত সোমবার তামিলনাড়ু সরকার সিনেমা হলে ১০০ শতাংশ দর্শক আসন ক্ষমতার অনুমতি দিয়েছিল। তবে বুধবার সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে গোটা দেশের সিনেমা হলে ৫০ শতাংশ দর্শকেরই ঢোকবার নির্দেশিকা বহাল থাকবে, তাই অবিলম্বে তামিলনাড়ু সরকারকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে নিজেদের সিদ্ধান্ত। ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনের আওতায় ঘোষিত কেন্দ্রের কোনও নির্দেশিকা লঙ্ঘন করতে পারবে না রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’, বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া বিবৃতিতে একথা জানাল স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক। ক্রিসমাস-নতুন বছরের মরসুমেও ৫% বেশি দর্শক হল ভরায়নি দক্ষিণ কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সিঙ্গল স্ক্রিন থিয়েটার প্রিয়ায়, জানিয়েছেন কর্ণধার অরিজিত দত্ত। তবে অন্যদের চেয়ে একদম ভিন্ন পথে হেঁটে নবীনা সিনেমার কর্ণধার নবীন চোখানি জানান, ‘আমি তখনই ১০০% দর্শক আসন ক্ষমতার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবো যখন আমি নিশ্চিত হতে পারব যে যেটা আমার কর্মী ও দর্শকদের জন্য পুরোপুরিভাবে সুরক্ষিত। এখন এটা কোনওভাবেই সম্ভবপর নয়। আমাদের কিছু মাস অপেক্ষা করতে হবে'। অনন্য বছরের চেয়ে এবছর ক্রিসমাস-নববর্ষের সপ্তাহে ১০ গুণ কম টিকিট বিক্রি হয়েছে নবীনায়, কিন্তু তাতে চিন্তিত নন নবীন চোখানি।