ছবির গল্পে দেখা যাবে কোভিডে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বাডিতে একাই থাকেন ধর্মেন্দ্র। উত্তর কলকাতায় তাঁর একটি চেম্বার রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে চান। ধর্মেন্দ্রর সহকারী নন্দিনী রোজ মফস্বঃল থেকে ট্রেনে করে কলকাতায় আসেন। এদিকে ধর্মেন্দ্রর চেম্বারে একদিন হঠাৎ এসে পড়েন হেমা মালিনী।
চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী
বাংলা ছবিতে জুটি বাঁধছেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। সৌজন্যে পরিচালক পারমিতা মুন্সি। এখবর শুনেই দারুণ খুশি হলেন নিশ্চয়। তবে না, এখানে একটা টুইস্ট আছে। এখানে আসলে ধর্মেন্দ্র হল চরিত্রের নাম। যে চরিত্রে অভিনয় করছেন চিরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। ছবিতে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।
ছবির বিষয়ে কথা বলতে অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘ছবির গল্পে আমি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, যেটা বংশ পরম্পরায় এটা চলে আসছে। উত্তর কলকাতার একটা ঘরে আমি ডাক্তারি করি। আমার নাম ঘটনাচক্রে ধর্মেন্দ্র। আর ধর্মেন্দ্রকে খুঁজতে খুঁজতে তাঁর চেম্বারে এসে পৌঁছন হেমা মালিনী। ইনিও বলিউডের সেই 'ড্রিম গার্ল' নন। তবে এই হেমা মালিনীও 'ড্রিম গার্ল' হেমার বড়ই ভক্ত। এই মহিলা তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর বোনের সঙ্গে থাকেন। প্রচুর পয়সা। আসলে ওঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে। নিজেকে তিনি হেমা মালিনী ভাবেন। আর তাই ধর্মেন্দ্রকে খুঁজতে খুঁজতে তিনি আমার চেম্বারে এসে হাজির হন। চিকৎসকের কাছে এসে উনি বলেন, আমায় সারিয়ে দিন, কী রোগ জানি না। একটাই রোগ আমি নিজেকে হেমা মালিনী ভাবি। বলেন, তিনি নাচতেও পারি, গাইতেও পারি ঘোড়াও চালাতে পারেন। চিকিৎসক ধর্মেন্দ্র তাঁর থেকে সরে আসার চেষ্টা করলেও পারেন না।’
চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর কথায়, ‘এটা একটা সিরিওকমিক ছবি, খুব সুন্দরভাবে পারমিতা বানিয়েছেন।’