করোনাভাইরাসের প্রকোপের ফলে ধাক্কা খেয়েছে সাংস্কৃতিক মহল। সমস্যায় পড়েছেন লোকশিল্পীরা। সেই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মেলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করার বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক সারলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকশিল্পীদের কথা মাথায় রেখে শনিবার একদফা বৈঠক করেন তিনি। শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, নির্দিষ্ট কোভিড-১৯ নির্দেশিকা, সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করে অনুষ্ঠান করতে পারবে সাংস্কৃতিক মহল। খোলা মঞ্চের পাশাপাশি অডিটোরিয়ামেও অর্ধেক দর্শক নিয়ে অনুষ্ঠান করতে পারবেন সাংস্কৃতিক এবং যাত্রাশিল্পীরা।সেক্ষেত্রে সর্বাধিক ২০০ জন জমায়েত করতে পারবেন। খোলা ময়দানে কোনও অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কতজন দর্শক থাকতে পারবেন, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে দর্শক-উদ্যোক্তা প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলকভাবে করোনা-বিধি মেনে চলতে হবে। যে কোনও মেলা, প্রদর্শনী, আবৃত্তি কিংবা গানের আসরের ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিধিনিষেধের বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেককে লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। লোকশিল্পীদের পাশে রয়েছে সরকার শনিবারের বৈঠকে তাও স্পষ্ট করেন মুখ্যসচিব। জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের লোকশিল্পীদের উৎসাহিত করার কথাও বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, শীতের মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেলা–গান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক উৎসব, প্রদর্শনী হয়। তবে করোনার জন্য সেগুলি সব বন্ধ রয়েছে। শীতকাল মানেই মেলা–উৎসবের সমারোহ শহর–রাজ্যজুড়ে। কিন্তু করোনা আবহে তা আদৌও হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ের তৈরি হয়েছে।