Ayesha Jhulka on Divya Bharti: সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার উপর খানিক জোর করেই ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’ (১৯৯৩) ছবিতে আয়েশা দেখিয়েছিলেন দিব্যা। সহ অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন কেমন ছিল, ভাগ করে নিলেন আয়েশা ঝুলকা।
Ad
দিব্যা ভারতীর প্রশংসা করেছেন আয়েশা ঝুলকা
নব্বইয়ের দশকে ‘ক্য়াটফাইট’ এবং দিব্যা ভারতী সহ অন্যান্যা সহশিল্পীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী আয়েশা ঝুলকা। এক নতুন সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার উপর খানিকটা জোর খাটিয়েই ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’ (১৯৯৩) ছবিতে তাঁকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন দিব্যা। ‘রঙ’ ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা।
দিব্যার ভাবনা শক্তি নিয়ে কথা বলেছেন আয়েশা। প্রয়াত অভিনেত্রীকে স্মরণ করে আয়েশা বলেছিলেন, দিব্যার মৃত্যুর খবর তাঁকে 'অসাড়' করে দিয়েছিল।
১৯৯৩ সালে মারা যান দিব্যা ভারতী। বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। তালাত জনি পরিচালিত ‘রঙ’ (১৯৯৩) ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দিব্যা, আয়েশা, কমল সাদানাহ, জিতেন্দ্র, অমৃতা সিং, কাদের খান প্রমুখ। একই বছর মুক্তি পেয়েছিল ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’। রোমান্টিক অ্যাকশন কমেডি এই ছবি, ভারত রাঙ্গাচারি পরিচালিত এবং সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত। ছবিতে অভিনয় করেছেন আয়েশা, অক্ষয় কুমার, সুনীল শেট্টি, মমতা কুলকার্নি এবং অনুপম খের। আরও পড়ুন: সুইৎজারল্যান্ড, প্যারিস ঘুরে ইউভান-রাজের সঙ্গে ছবি পোস্ট শুভশ্রীর, দেখুন
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আয়েশা ঝুলকা বলেন, 'আমার মনে হয় সময়টা অন্যরকম ছিল। আমরাও শিশুসুলভ ছিলাম, মাঝে মাঝে ছোট ছোট জিনিসও হতো। ক্য়াটফাইট চলতে থাকত, পরিচালক বা প্রযোজকের কাছে নানা অভিযোগ থাকত। আমি দিব্যা ভারতীকে খুব পছন্দ করতাম, ও নিজেও আমায় খুব পছন্দ করত। সে বলত ‘আমি তোমার প্রেমে পড়েছি’। আমরা প্রতিবেশী ছিলাম এবং প্রায়ই যোগাযোগ রাখতাম। রঙ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। ও আমার বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিল। খুব বেশি দেখা হত না, তবে যোগাযোগ ছিল আমাদের মধ্যে। আমি সাজিদের (নাদিয়াদওয়ালা) সঙ্গে ওয়াক্ত হামারা হ্যায় করেছি এবং ও সেটে এসে বলত, ‘আয়েশাকে এই ছবিটি করতে হবে’। আরও পড়ুন: রকস্টারের গলায় ভক্তিগীতি! ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ সকলে হতবাক অতুলের গানে, দেখুন Video
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কেন লোকে দিব্যা ভারতীর বিষয়ে কথা বলে না জানিনা, ও নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে আমাকে ওয়াক্ত হামারা হ্যায় করতে দিয়েছে। ও মহাবালেশ্বরে আমার সেটে আসত। এসে আমাকে ওর টিপ পরিয়ে দিত। নিজের জন্য জুতো কিনলে আমার জন্যও একজোড়া জুতো কিনত। এমন অনেক বিষয় লোকে জানে না। সুন্দর বন্ধুত্ব ছিল আমাদের।’ আরও পড়ুন: নাতনি জামাইয়ের সঙ্গে ডিনার ডেটে আশা ভোঁসলে, টেস্ট করলেন জাপানি খাবার
আয়েশা বলেন, ‘রঙ'-এর শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই আমাদের দুর্দান্ত রসায়ন ছিল। প্রথম কয়েকজনের মধ্যে আমি একজন যার ওর মৃত্যুর খবর পেয়েছিলাম। আমি অসাড় হয়ে পড়েছিলাম। আমি কাজ করতে পারিনি। তখন রঙ-এর জন্য ডাবিং করছিলাম, অনেকদিন ডাব করতে পারিনি। আমি শুধু কাঁদতাম এবং প্রায় তিনবার ডাবিং বাতিল করা হয়েছিল, কারণ আমি ডাব করতে পারতাম না।’ তিনি মনে করেন না ক্যাটফাইট 'ভালোবাসার মতো গুরুত্বপূর্ণ'।