গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিনি। অপু আর কাজলের গল্প। সাদা-কালো প্রেক্ষাপটে সযত্নে এঁকেছিলেন বাবা-ছেলের আখ্যান। নাম দিয়েছেন 'অভিযাত্রিক'। করোনার দাপটে ব্যবসায়িক সাফল্য থেকে গিয়েছিল অধরা। তবে বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় স্তরে সম্মানিত সেই ছবি। একটি নয়, ঝুলিতে এসেছে দু'টি জাতীয় পুরস্কার। উচ্ছ্বসিত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। আবার কিছুটা আবেগঘনও বটে।হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে তিনি বলেন, 'এই পুরস্কার আমার বাবাকে উৎসর্গ করছি। উনি জানতেন ছবিটা করছি। কিন্তু তা শেষমেশ দেখে যেতে পারেননি। আজ সত্যিই আমার খুশি আকাশ ছুঁয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পেলাম আমরা। তার জন্য আমি এবং আমার টিম জন্য গর্বিত। একই সঙ্গে বাঙালিদের জন্যও আজ গর্বের দিন।' সহযোগীতার জন্য ছবির প্রযোজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন শুভ্রজিৎ।ছবিতে 'অপু' চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অর্জুন চক্রবর্তী। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জুতোয় পা গলানো! কাজটা সহজ ছিল না মোটেই। সেই ছবিরই এমন সাফল্য। বলাই যায়, স্টার মার্কস নিয়ে পাশ করেছেন অভিনেতা। কিন্তু অর্জুন কী বলছেন? 'আমি অসম্ভব খুশি। আমরা সবাই খুব কষ্ট করে ছবিটি বানিয়েছি। শুভ্রজিৎদা এবং প্রযোজকদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ দর্শকদেরও। সুপ্রতিমকেও শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই ছবির অংশ হতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে', পরিতৃপ্তির ছাপ 'অপুর গলায়'।