সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক ও আরমান, অমলের বাবা ডাবু মালিক দুই ভাই। দুজনের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, কিন্তু যখন পেশাদার জীবনের কথা আসে তখন উভয়ই আলাদা। দুজনেই বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সরদার মালিকের পুত্র। কিন্তু ডাবু মালিকের ছেলে সংগীতশিল্পী অমল মালিক তাঁর কাকা অনু মালিকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এনেছেন। সম্প্রতি তিনি জানান, কীভাবে তাঁর কাকা আনু মালিক তাঁর বাবার হাতে থাকা অনেক প্রজেক্ট ছিনিয়ে নিয়েছেন। কাকার বিরুদ্ধে মি টু অভিযোগ নিয়েও নীরবতা ভেঙেছেন অমল।
সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমল মালিক বলেন, ‘যখন অনু মালিক এবং ডাবু মালিকের দেখা হয়, তখন তাঁদের দুজনকেই দুই পাগল ভাইয়ের মতো দেখায়, তবে পেশাদার স্তরে অনু মালিক সর্বদা প্রতিযোগিতামূলক ছিলেন। তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে তিনি আমাদের সঙ্গীত পরিবারের মধ্যে সেরা। অনেক সময় আমার বাবা যখন ছবির কাজ পেতেন, তখন তিনি প্রযোজকদের কাছে যেতেন এবং তাঁদের কম টাকায় বা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করে দেবেন বলে জানাতেন এবং ছবিটি নিয়ে নিতেন বাবার থেকে’। অমল বলেন, মহেশ ভাট ডাবু মালিকের সঙ্গে 'মার্ডার' ছবির মিউজিক ডিল চূড়ান্ত করছিলেন, কিন্তু অনু মালিক চতুরতার সঙ্গে সেটিও ছিনিয়ে নেন।
অমল জানান, ৩২ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত হতাশায় ভুগেছেন তাঁর বাবা। ছোটবেলায় বাবাকে বিষণ্ণতায় ভুগতে দেখেছেন তিনি। তিনি সবসময় তাঁর কাজের মাধ্যমে সাড়া ফেলতে চেয়েছিলেন। আর আজ তাঁরা সেটা করছেন। অমল জানান, তাঁর বাবা ৭০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কিন্তু স্বীকৃতি পাননি। অমল বলেছিলেন যে অনু মালিকও তাঁর কেরিয়ারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখনই কোনও প্রকল্প ঘোষণা করি, তিনি মাঝখানে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রতিযোগিতা এখনও আছে, কিন্তু তিনি অন্তত আমার দিকে তাকান এবং বলেন যে আমি একটি ভালো কাজ করেছি।’
অনু মালিকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে অমল বলেন, ‘মি টু আন্দোলনে যখন তাঁর নাম উঠেছিল, তখন আমি কোনও অবস্থান নিইনি। কারণ আমি কখনই তাদের পরিবারের অংশ মনে করিনি। আমি বরং বিব্রত হয়েছিলাম। যদি পাঁচজন মানুষ একজনের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাহলে অবশ্যই তাতে কিছু সত্যতা আছে বলে মনে করি।’